কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে ৩৪ বছর আগে দিল্লিতে শিখ বিরোধী দাঙ্গায় অংশ নেওয়ার জন্য দিল্লি হাইকোর্ট আজ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
১৯৮৪ সালের ৩১শে অক্টোবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর দুই শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন। তার বদলা নিতে শুরু হয় শিখ বিরোধী দাঙ্গা। ১লা নভেম্বর দিল্লিতে রক্তগঙ্গা বয়ে যায়। উন্মত্ত জনতার আক্রমণে তিন হাজার শিখ মারা যান। বেশ কয়েক জন কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উস্কানি যোগানো, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া, শিখদের সম্পত্তি হানি, ইত্যাদি অভিযোগ উঠলেও কাউকে শাস্তি দেওয়া যায়নি। জগদীশ টাইটলার ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছেন, কমলনাথ তো মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীই হয়ে গেলেন। সজ্জন কুমারকে কাঠগড়ায় তোলা হলেও নিম্ন আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস করে দেয়। আজ দিল্লি হাইকোর্ট ওই রায় খারিজ করে সজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে বলেছে, ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এর মধ্যে তিনি দিল্লি ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না। শিখ সংগঠনগুলির প্রতিক্রিয়া, ৩৪ বছর পর ন্যায় বিচার পাওয়া গেল। তবে এখনও বাকি আছে।