অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানি শাসকদের ইসরাইল বিরোধী বাগাড়ম্বরকে ইরানের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে তারা বিশ্বাস করে ইরানি শাসকদের ইসরাইল বিরোধী বাগাড়ম্বরকে ইরানের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এটিকে ইহুদি বিরোধী বাগাড়ম্বর বলেই আখ্যায়িত করছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দপ্তর, ইসরাইল, ইসরাইলের ঘনিষ্ট মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘের কাছ থেকে ক্ষোভের সম্মুখীন হয় কারণ খামেনির ওয়েবসাইটে এমন একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে যেখানে দেখানো হয়েছে ইরান সমর্থিত ফিলিস্তিনিরা জেরুজালেম দখল করে নিয়েছে। জেরুজালেমকে ইসরাইল নিজেদের রাজধানী বলে দাবি করে এবং এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে আর ফিলিস্তিনিরা পুর্ব জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী বানাতে চায়। মঙ্গলবার পোস্ট করা ঐ ছবিটি পরে মুছে ফেলা হয় তবে ইংরেজিতে সেখানে লেখা ছিল ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে। চূড়ান্ত সমাধান: গণভোট পর্যন্ত গণপ্রতিরোধ। নাৎসি জার্মানীতে ইহুদিদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য এই চূড়ান্ত সমাধান কথাটি ব্যবহার করা হতো।

এই ছবিপোস্ট হবার একদিন পরই ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেয়ামিন নেতেনইয়াহু খামেনিকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন এই রকম বাগাড়ম্বর বাস্তবায়নের চেষ্টা ইরানে খামেনির ইসলামি শাসনের সমাপ্তি ঘটাবে। রমজানের শেষ শুক্রবার ইরানে ক্বুদস দিবস হিসেবে পালন করা হয় বলে এ দিন পর্যন্ত খামেনির এই পোস্ট তাঁর ইংরেজি টুইটারে দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রী মর্গান অর্টাগাস কাছ থেকে নাৎসিদের মতো খামেনির এই ভাষা তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়। তবে খামিনি বলেছেন তিনি ইহুদিদের নয়, ইসরাইল রাষ্ট্রের উৎখাতের কথা বলেছেন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জা্ওয়াদ জরিফ খামেনির ঐ ছবি আবার পোস্ট করে এর যৌক্তিকতা সমর্থন করেন। তিনি পশ্চিমী দেশগুলোর এই দ্বিমুখি নীতির সমালোচনা করেন যেখানে গণতন্ত্রকে উৎসাহিত করা হয় অথচ গণভোট সম্পর্কে খামেনির সমাধান মানা হয় না। শুক্রবারের এক টুইট বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও জারিফের মন্তব্যের নিন্দে করেন।

XS
SM
MD
LG