সম্প্রতি বাংলাদেশের আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এসেছিলেন ওয়াশিংটনে । ভয়েস অফ আমেরিবার সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে আইন মন্ত্রী বাংলাদেশের আইন ও বিচার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তাঁর অভিমত প্রকাশ করেন। মামলার চূড়ান্ত রায়ে বিলম্বের কারণ সম্পর্কে আইন মন্ত্রী বলেন যে বিশেষত দেওয়ানী মামলার আইনের এতগুলো দিক আছে যে গুলো সম্পন্ন হতেই দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এই জটিলতা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে জনাব আনিসুল হক বলেন যে বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব না করেই , এ রকম একটি প্রস্তাব আওয়ামী লীগের আগের সরকারের সময় থেকেই বিবেচনাধীন থেকেছে যে Alternative Dispute Resolution ( ADR) এর মাধ্যমে মামলার নিস্পত্তি করা যায় কী না। সে ব্যাপারে বিচারক সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সামনে বিকল্প তুলে ধরবেন।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের বিচারে বিলম্ব প্রসঙ্গে আইন মন্ত্রী বলেন যে প্রথমত এ ধরণের মামলা পরিচালনার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের কৌঁসুলিদের ছিল না , দ্বিতীয়ত বিয়াল্লিশ বছর আগেকার এই মামলায় স্বাক্ষী সাবুদ পাওয়া ছিল কঠিন ব্যাপার । তবে তিনি বলেন যে যুধ্দাপরাধীদের মামলার গতি প্রথমে শিথিল হলেও এখন তা দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
যুদ্ধাপরাধে সাজা প্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদির মামলায় রিভিউ পিটিশানের ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলের মতভেদ বিষয়ে আইন মন্ত্রী বলেন যে কী কারণে কাদের মোল্লার রিভিউ পিটিশানে করা আবেদন আদালত গত বছর নাকচ করেছিল সেটা আগে জানা প্রয়োজন। কাদের মোল্লার রিভিউ পিটিশান আদৌ আদালতের কাছে গ্রহণ যোগ্য হয়েছিল কি না এবং হয়ে থাকলে , বিচারকের রায়ে কি তার ফাঁসির দন্ডাদেশ বহাল ছিল , সে বিষয়ে পুর্ণাঙ্গ রায় না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা মুস্কিল যে সাঈদির মামলায় উভয় পক্ষই রিভিউ পিটিশানের সুযোগ পাবেন কী না।