দু’টি রিপোটঃ ভারতের মাটিতে আইএসআই গুপ্তচর এবং ভারতে বনাঞ্চল উজাড় প্রসংগ
গুপ্তচর বৃত্তিতে শুধু ছেলেরাই নয় মেয়েদেরও কাজে লাগাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বেশ কয়েকজন আই এস আই এজেন্ট হয়ে পাক মহিলা এ রাজ্যসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি পাকগুপ্ত চর সংস্থার কাছে সম্প্রতি প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরেছে বেশ কয়েকজন ভারতীয় মহিলাও। যার মধ্যে এ রাজ্যের কয়েকজন রয়েছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে খবর।
পেশাদার মহিলা এজেন্টদের মাধ্যমে ভারতীয় সেনা ও নৌবাহিনীর সম্পর্কে গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য পাচার হয়েছে পাকিস্তানে। সম্প্রতি কলকাতায়, কলকাতা টাস্ক ফার্স হাতে ধৃত আইএসআই এজেন্ট ইরশাদ এবং উত্তর প্রদেশ থেকে ধৃত আই এস আই এজেন্ট ইজাজকে জেরা করে এই তথ্য হাতে আসার পর রীতি মতো উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এ সম্পর্কে পরমাশীষ ঘোষরায়ের রিপোর্ট।
ভারতের বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সর্বশেষ রিপোর্ট দেশের বনাঞ্চল ধ্বংসের এক উদ্বেগজনক ছবি তুলে ধরেছে। ২০১৩ সালের উপগ্রহ সমীক্ষার তুলনায় ২০১৫-য় ঘন বনাঞ্চল কমে গিয়েছে ২,৫০০ বর্গ কিলোমিটার। কিছু নতুন জঙ্গলের পত্তন হয়েছে বটে, কিন্তু তা গভীর অরণ্য হয়ে উঠতে বহু বছর লেগে যাবে। ধ্বংস-হওয়া বনাঞ্চল গড়ে উঠেছিল কয়েকশো বছর ধরে। পশ্চিমবঙ্গও বন ধ্বংসের ব্যতিক্রম নয়। এ রাজ্য দু’বছরে হারিয়েছে ২৩ বর্গ কিলোমিটার জঙ্গল এলাকা, বা, মোট বনাঞ্চলের এক শতাংশ। এমনিতেই রাজ্যে বনাঞ্চল মোট এলাকার আড়াই শতাংশ মাত্র। উন্নয়নের বিবিধ দাবি মেটাতেই কেটে ফেলা হচ্ছে জঙ্গল। কিন্তু পরিবেশের কি হবে, সে চিন্তা যেন আর গুরুত্ব পাচ্ছে না।
গভীর বনাঞ্চল রক্ষা করা এবং সম্প্রসারণও যে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের আবশ্যিক শর্ত, সেই সচেতনতা সর্ব স্তরে ছড়িয়ে দিতে পারে নি সরকার, এমনই আপশোষ পরিবেশবিদদের। এ সম্পর্কে গৌতম গুপ্তের রিপোর্ট।