যুক্তরাষ্ট্রে, এই গেলো নির্বাচনেই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম রাজনৈতিক দল গ্রীন পার্টীর তরফের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন যিনি নাম তাঁর জিল স্টাইন। যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সমাপ্ত এ নির্বাচনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন জিতবেন বলে ব্যাপক বিস্থৃতভাবে অনুমিত হয়ে থাকলেও বাস্তবে তা ঘটেনি- জিতে গিয়েছেন কোটিপতি ব্যবসায়ি ডনাল্ড ট্রাম্প- হয়েছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টরুপে। তিনি জিতেছেন ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে- যদিও পপুলার ভোট বা আম জনতার ভোট বেশি পেয়েছেন হিলারী তুলনামুলকভাবে বিশ লক্ষেরও বেশি সংখ্যায়।কিন্তু সংবিধানে বলাই রয়েছে- ইলেকটোরাল ভোট যিনি ২ শ’ ৭০ বা তার বেশি পাবেন তিনিই হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।
ঐ গ্রীন পার্টীর প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী জিল স্টাইন আম জনতার পপুলার ভোট মাত্রই এক শতাংশ পেলেও এখন তিনটি রাজ্যে ভোট পুনর্গণনার জন্যে আবেদন জানিয়েছেন তিনি । রাজ্য তিনটি হ’লো পেনস্যালভেনিয়া,মিশিগান ও উইসকানসিন্।বলছেন- ভোটের ফলাফল পুন:নির্ধারণ নয়- হিলারীকে মদত জোগানোর লক্ষ নয় মোটে, লক্ষ্য হ’লো গণতন্ত্রের মূল্যবোধের সংরক্ষণ- স্টাইনের ওয়েবসাইটের এক বক্তব্যে বলা হয়েছে সেকথাই।
স্টাইন তাঁর এ লক্ষ্য সাধন উদ্দেশে খরচ খরচা বাবদে প্রায় ৭০ লক্ষ ডলার চাঁদা সংগ্রহ করেছেন। তিনটি রাজ্যেই ভোট পুনর্গণনার জন্যে জনমত সংগ্রহেরও প্রয়াস চালাচ্ছেন তিনি। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদের জন্যে নির্বাচিত ট্রাম্পও স্টাইনের এ প্রয়াসকে ভাঁওতাবাজি আখ্যায়িত করে – তাঁর এ প্রয়াসকে ভন্ডুল করার লক্ষ্যে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন।
ইতিমধ্যে পেনস্যালভেনিয়ার এক আদালতের বিচারক এ পূনর্গণনার জন্যে স্টাইনকে দশ লক্ষ ডলারের জামানত দিতে বলেছেন এবং স্টাইন এখন কেন্দ্রীয় সরকারের আদালতের শরনাপন্ন হতে মনস্থ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
যেমনটি কিনা আমরা আগেই উল্লেখ করেছি- সংবিধান মোতাবেক যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের দু’ কক্ষ - প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫ সদস্য- সেনেট সভার এক শ’ সেনেটর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান যে ওয়াশিংটন ডিসিতে সেই তার জন্যে নির্ধারিত তিন আসন এই মোট ৫৩৮ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ অন্যুন ২৭০ বা তার বেশি ইলেকটোরাল ভোট যিনি পাবেন প্রেসিডেন্টের আসন তাঁরই প্রাপ্য, এটাই চলে আসছে সেই অস্টাদশ শতকে দ্বাদশ সংশোধনী পাশ হবার পর থেকেই-এতে কে পপুলার বা আম জনতার ভোট বেশি পেলেন সেটা নয় বরং ইলেকটোরাল ভোটই প্রেসিডেন্ট পদ নির্ধারনী সংখ্যারুপে পরিগণিত হয়ে আসছে। স্টাইন মোট তিনটি রাজ্যের ভোট পুনর্গণনার জন্যে বলেছেন পেনসেলভানিয়া- মিশিগান ও উইসকানসিন। এবং বলেছেন গণতন্ত্রের সুরক্ষাই এর লক্ষ্য।