আজ নারীকণ্ঠে আপনাদের শোনাবো বর্তমান ফার্স্ট লেডি জিল ট্রেসি বাইডেনের কথা।
এই অনুষ্ঠানের জন্য জিল বাইডেন সম্পর্কে যখন তথ্য খুঁজতে শুরু করি, তখন দেখতে পেলাম তাঁর সর্ব প্রথম পরিচয়, তিনি একজন আমেরিকান শিক্ষক এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি। এর আগে ওবামা শাসন আমলে তিনি ছিলেন সেকেন্ড লেডি।
জিল বাইডেনের জন্ম ১৯৫১ সালে নিউ জার্সির হ্যামন্টনে। তিনি ১৩ বছর হাই স্কুলে ইংরেজি পড়িয়েছেন।একটি মানসিক হাসপাতালে প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।২০০৯ সালে যখন জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে বহাল হলেন তখনো জিল তাঁর চাকরি ছেড়ে দেননি।ঐ সময় তিনি ছিলেন নর্দার্ন ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক।
জো বাইডেনের সঙ্গে জিলের পরিচয় হয় ১৯৭৫ সালে। সে সময় কয়েক মাসের জন্য বাইডেনের সেনেট অফিসে কাজ করেছিলেন জিল। আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণে খুব কঠিন সময় পার করছিলেন জিল। তখন জো বাইডেন ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তাঁর স্ত্রী ও কন্যার শোকে অনেকটা বিধ্বস্ত ছিলেন। এরপর ১৯৭৭ সালে জো বাইডেন ও জিল বাইডেন বিয়ে করেন।১৯৮১ সালে তাদের কন্যা অ্যাশলি জন্মগ্রহণ করে। জিল যেমন তাঁর ক্যারিয়ার গড়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছিলেন তেমনি জো বাইডেনের আগের সংসারের দুই ছেলে বো এবং হান্টারকে মায়ের মমতা ও ভালোবাসায় বড় করেছেন।
জিল বাইডেন বাইডেন ব্রেস্ট হেলথ ইনিশিয়েটিভ নামের একটি অলাভজনক সংস্থার প্রেসিডেন্ট। এই সংস্থাটি ১৯৯৩ সালে গঠন করা হয় এবং ডেলাওয়েরের বিভিন্ন স্কুলে মেয়েদের ব্রেস্ট সংক্রান্ত নানা রোগ সম্পর্কে সচেতন করার কাজ করে। এছাড়া স্বল্প আয়ের পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য বই সরবরাহ করা প্রতিষ্ঠান বুক বাডিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা জিল।২০০৭ সালে জিল ইউনিভার্সিটি অফ ডেলাওয়ের থেকে এডুকেশনাল লিদারশিপের ওপর ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।
নারীদের প্রতি সহিংসতা রোধ, কমিউনিটি কলেজ এবং সামরিক পরিবারগুলিকে নানা সহযোগিতা দেয়ার জন্য ২০১৭ সালে জিল এবং জো বাইডেন বাইডেন ফাউন্ডেশন চালু করেন। একই মাসে, তাকে সেভ দ্য চিলড্রেনের বোর্ড চেয়ার হিসাবে মননিত করা হয়; তিনি বলেছিলেন,"আমি মনে করি [তাদের] শিক্ষার উপর জোর দেওয়া আমার জীবনের কাজের সাথে খাপ খায়।
জিল বিডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিজানে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে তিনি জো বাইডেনের প্রচারাভিযানের কাজে নেমে পড়েন।তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার সময় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন যার ফলস্বরূপ সেনেটর কামলা হ্যারিসকে বেছে নেওয়া হয়। 2020 এর ভার্চুয়াল ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের দ্বিতীয় রাতে, জিল ব্র্যান্ডিওয়াইন উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি এক সময় ইংরেজি পড়াতেন। তিনি পারিবারিক দুর্ভোগ এবং দেশের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে বলেছিলেন, "আপনি কীভাবে একটি ভাঙ্গা পরিবারকে একত্রিত করতে পারেন? ঐ একইভাবে আপনি একটি জাতিকে এক করতে পারবেন ার টা হল ভালোবাসা এবং বোধশক্তি দিয়ে।
বারবারা বুশের পর জিল প্রথম যিনি সেকেন্ড লেডি এবং ফার্স্ট লেডি উভয় পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।৬৯ বছর বয়সী, জিল বাইডেন হচ্ছেন প্রথম ফার্স্ট লেডি যিনি যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী হিসেবে হোয়াইট হাউসের বাইরে বেতন ভুক্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন।