ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জোর দিয়েই বলছেন যে পশ্চিমের সঙ্গে স্বাক্ষরিত রূপরেখা চুক্তি এ রকম কোন নিশ্চয়তা দিচ্ছে না যে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরানের পারমানবিক কর্মসূচি হ্রাস করা সম্পর্কে চূড়ান্ত কোন চুক্তিতে পৌছুনো সম্ভব হবে।
আজ বৃহস্পতিবার এক ভাষণে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন যে গত সপ্তায় ইরান ও ছ টি শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যে অন্তবর্তী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তিনি তার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে নন। তবে তিনি জোর দিয়েই বলেন যে এই চুক্তি অসম্পূর্ণ এবং বাধ্যতামূলক নয়।
তবে ইরানের এই সব চেয়ে ক্ষমতাবান কর্মকর্তা এই আপোষ আলোচনার ব্যাপারে তাঁর অব্য্যাহত সমর্থন প্রকাশ করেন এবং বলেন যে ইরানের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষা করে এমন আপোষরফা মুলক চুক্তির বিষয়টি তিনি খোলা মন নিয়েই দেখছেন।
এই আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র যে চুক্তি ব্যাখ্যা করে তথ্য প্রকাশ করেছে , ইরানী ধর্মীয় নেতা তার সমালোচনা করেছেন।
দিনে আরও আগের দিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন যে পর্যন্ত না সব আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে , সে পর্যন্ত তেহরান সরকার কোন চূড়ান্ত চুক্তি মেনে নেবে না :
ইরানের জাতীয় পরমাণু প্রযুক্তি দিবস উপলক্ষে এক ভাষণে তিনি বলেন যে চুক্তি বাস্তবায়নের একবারে প্রথম দিনেই সব ধরণের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এক সঙ্গে তুলে না নেওয়া হলে তারা কোন চুক্তি সই করবেন না।
ইরান বার বার দাবি জানিয়েছে যে এই সবব নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে এবং স্থায়ী ভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হউক।
ইরান এবং পশ্চিমি দেশগুলো মতভেদ দূর করার জন্যে তিরিশে জুন পর্যন্ত সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে তবে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন এই সময় সীমা বৃদ্ধি করলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না।