জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনে গভীরভাবে শঙ্কিত। রাখাইন প্রদেশে সাত দিন অবস্থানের পর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, গোটা পরিস্থিতি ভয়াবহ। হত্যা ও ধর্ষণের এন্তার অভিযোগ এসেছে তাদের কাছে। সেখানে আসলে কী ঘটেছে তা জানা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদের সেখানে যেতে দেয়া হচ্ছে না। তার আশা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বের করতে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদের সেখানে যেতে দেবেন। তিনি বলেন, গণহত্যার অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়ার বিষয় নয়। এগুলো সঠিকভাবে তদন্ত করতে হবে।
কফি আনান মিয়ানমার প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াও ও স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই পরিস্থিতির সুরাহা চেয়েছেন। যদিও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আগাগোড়াই বলে আসছে সেখানে হত্যা ও ধর্ষনের অভিযোগ সত্য নয়। ওদিকে মিয়ানমার তার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বব্যাপি সমালোচনার মুখে ইন্দোনেশিয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। মিয়ানমার আশা করছে যে, জাকার্তার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে। তবে ইন্দোনেশিয়ার বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ দীন শামসুদ্দিন রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে ওআইসি ও আসিয়ানের মাধ্যমে উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
ওদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে এক বিবৃতিতে রাখাইন রাজ্যের সহিংসতা তদন্তে মিয়ানমার সরকারের তদন্ত কমিটি গঠনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে এই বিবৃতিতে এটাও বলা হয়েছে, রাখাইনে পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি ঘটেছে।
লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।