উত্তর প্রদেশেরঅযোধ্যার মাটিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিরনজির গড়ার লক্ষ্যেই তিনশো বছরের পুরনো, জীর্ণ একটি মসজিদ পুনর্নির্মিত হতে চলেছে স্থানীয় হনুমানগারহি মন্দিরের জমিতে। মন্দির কর্তৃপক্ষ শুধু যে নিজেদের জমিতে মসজিদ নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে তাই নয়, নিজেদের কোষাগার থেকে মসজিদ তৈরির খরচ দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে।আলমগিরি মসজিদ নামে পরিচিত আরগারা এলাকার এই মসজিদটি তৈরি হয় সতেরোশ শতাব্দীতে, বাদশা আলমগীরের কোনও সেনাপতির নির্দেশে। সতেরো পয়ষট্টি সালে নবাব সুজাউদ্দৌলা মসজিদের জমি দান করেন হনুমানগারহি মন্দির কর্তৃপক্ষকে। শর্ত ছিল, মসজিদটিতে নিয়মিত নমাজ পড়া যাবে। ধীরে ধীরে এখানে নমাজ পাঠ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, পরিত্যক্ত হয় এই মসজিদ। কোনওরকম মেরামতির অভাবে তারপর থেকেই পুরোপুরি ভেঙেচুরে গেছে প্রাচীন এই ধর্মস্থান। দিনকয়েক আগে এটি বিপজ্জনক নির্মাণ বলে ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। এখানে মানুষের আসা যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।
এরপর স্থানীয় কয়েকজন মুসলিম দেখা করেন হনুমানগারহি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মহান্ত জ্ঞান দাসের সঙ্গে। মসজিদ পুনর্নির্মাণের জন্য তাঁর অনুমতি চান। তাঁদের অবাক করে দিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ শুধু যে মসজিদ পুনর্নির্মাণেরই অনুমতি দেয়, তা নয়, তার খরচও দিতে চায় তারা। একইসঙ্গে জানায়, মসজিদও যেহেতু ‘খুদা কা ঘর’, তাই এখানে মুসলিমরা নমাজ পড়লে তাদের কোনও আপত্তি নেই। স্থানীয় মুসলিমরা জানিয়েছেন, মন্দির কমিটির এই সিদ্ধান্তে তাঁরা কৃতজ্ঞ। হনুমানগারহি মন্দির ট্রাস্ট ও বিশেষত মহান্ত জ্ঞান দাসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।
বিস্তারিত জানিয়েছেন কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষ রায়।