গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার এই সিটিতে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ১১ লাখ ৩৭ হাজার ভোটারের এই সিটিতে এটা দ্বিতীয় নির্বাচন। পাঁচ বছর আগে প্রথম নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। এবারও আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে লড়াই হচ্ছে। নির্বাচন কেমন হবে এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিএনপি। রোববার ড. মঈন খানের নেতৃত্বাধীন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত করে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বলেছে, নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য প্রশাসনিক নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে গণগ্রেপ্তার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছে।
কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে চেষ্টা রয়েছে তাদের। উত্তেজনার মধ্যে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপি প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তার আশঙ্কা নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তার ভাষায়, খুলনার নির্বাচনে যেসব পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছিল তাদেরকে গাজীপুরে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কেমন হবে পত্রিকায় ছবি দেখেই বোঝা যায়। আওয়ামী লীগ প্রার্থী পুলিশের গাড়িতে করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। গণগ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জ্বালাও-পোড়াও করে তারা এতদিন আত্মগোপনে ছিল। নির্বাচন উপলক্ষে তারা এখন বের হয়েছে। তাই পুলিশ তাদের ধরছে। এখানে আমাদের কারো হাত নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গাজীপুর সিটিতে ভোটাররা যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। এতে সরকারের কোনো পরামর্শ নেই।