বেশ ক’সপ্তাহ যাবত মাথা চাড়া দেওয়া রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে অং সান সুচির দেশব্যাপি টেলিভিশনে প্রচারিত প্রথম ভাষণ অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো নতুন কোন দিক নির্দেশনা দেবে বা সম্ভবত: বাক চাতুরীর ঐশ্বর্য অন্তত: সংঘাত প্রশমনের উদ্যোগে প্রনোদনা জোগাবে।
কিন্তু পর্যবেক্ষকদের অনেকেই এখন বলছেন, তাঁর ঐ তিরিশ মিনিটের মঙ্গলবারের ভাষণ সময়োপযোগী হতে পারেনি। পক্ষান্তরে দেশটির সামরিক বিভাগের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আরো মারাত্মক সব অভিযোগগুলোকেই হয়তো ধামা চাপা দেওয়া হয়েছে।
ইয়াঙ্গুন ভিত্তিক গবেষনা সংস্থা তাম্পাদিপা ইনস্টিটিউটের পরিচালক Khin Zaw Win যেমন বলেছেন, "আর কিছু পারুন না পারুন অন্তত: জ্বালাময়ী একটা ভাষণ তো দিতে পারতেন। আমি ভাষণ কথাটার ওপরেই জোর দিচ্ছি কেননা ওটাই করেন রাজনীতিবিদেরা, আর তাঁর কাছে ওটাই প্রত্যাশিতও ছিল। কিন্তু ঐ ভাষণ দেবার কাজটুকুও ঠিকমতো সম্পন্ন করা হয়নি।"
ত্রাণ সংস্থা গুলোর হিসেব মতে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম প্রাণ ভয়ে পালিয়েছেন বাংলাদেশে এবং মিয়াম্মারকে এখন জাতিগোষ্ঠী নির্মূলের দায় স্খালনের চেষ্টায় সোচ্চার হতে হচ্ছে।