মিয়ানমারের সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের আইনজীবী জানিয়েছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার আদালতে বলেছেন, তিনি সেনাবাহিনীর পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখান করে বলেছিলেন যে, তিনি বরং মারা যাবেন। আট মাস আগে সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখল করার সময় উইন মিন্ট অফিস থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।
উইন মিন্ট উষ্কানি দেবার অভিযোগে তার বিচারে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন। ঐ বিচারে দেশটির অন্য ক্ষমতাচ্যুত শীর্ষ নেতা ও স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি তাঁর সহ-বিবাদী। জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে পারে এমন মিথ্যা বা উত্তেজনা সৃষ্টিকারী তথ্য ছড়ানোকে উষ্কানি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। যাকে কখনও কখনও রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলা হয় এবং এর জন্য তিন বছর পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে।
রাজধানী নেপিডোর একটি বিশেষ আদালতে বিচার চলছে। নেপিডোর সাবেক মেয়র মায়ো অং ঐ বিচারের তৃতীয় আসামী। সু চি এবং সাবেক মেয়র অং পরে সাক্ষ্য দেবার কথা রয়েছে।
গত ১লা ফেব্রুয়ারী সু চির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রণ নেবার পর তারা উইন মিন্ট ও সু চি আটক করে। গত বছরের নভেম্বরে বিপুল ভোটে বিজয়ের পর সু চির সরকারের দ্বিতীয় দফায় পাঁচ বছরের মেয়াদ শুরু করার কথা ছিল। সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, তারা গণতন্ত্র রক্ষায় কাজ করছে, কারণ ব্যাপক ভোট জালিয়াতির কারণে নির্বাচন কলঙ্কিত হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের কোন সমর্থন নেই।