মিয়ানমারের উত্তর রাখাইনে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এক সমাবেশে পুলিশের সাথে এক তুমুল সংঘর্ষে এ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ৭ জন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নিহত ও কমপক্ষে ১৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থার খবর মোতাবেক জাতিগত বিভেদ এবং অনৈক্যের কারণে ওই সংঘর্ষ ঘটে থাকতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বলছে যে, তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কাজ শুরু করতে চায় আগামী মঙ্গলবার থেকেই, ৫০০ জন হিন্দু ও ৫০০ জন মুসলমান রোহিঙ্গা আশ্রয় প্রার্থীকে প্রত্যাবাসনের মধ্যদিয়ে। মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ থে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, প্রতিদিন ৩শ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা হবে, তবে তা হতে হবে সুনির্দিষ্ট যাছাই-বাছাই পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থোনিও গুতেরেজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের সাথে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে অন্তর্ভুক্ত না করায়, এমন কি কোন ধরনের আলাপ-আলোচনা না করায়ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে ইউএনএইচসিআর-এর অন্তর্ভুক্তি কামনা করে বলেছেন, কৃত্রিম পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবন-যাপনের নিশ্চয়তা প্রদান না করে বাংলাদেশের ক্যাম্প থেকে মিয়ানমারের ক্যাম্পে ফিরিয়ে নেয়া হবে রোহিঙ্গাদের জন্য এক ভয়ংকর পরিস্থিতি।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, হত্যা-নির্যাতন-নিপীড়নের দগদগে স্মৃতি ভুলতে না ভুলতেই, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কোন ধরনের আলোচনার ব্যতিরেকে প্রত্যাবাসনের দিনক্ষণ নির্ধারণ অবৈধ এবং যথাযথ সময়ানুগ নয়।
এদিকে, মিয়ানমার থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে, ওই দেশের কর্তৃপক্ষ আরসার ১৩০০ জন সন্ত্রাসীর নাম বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে।