রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস গণহত্যা চালানোর অভিযোগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজেতে ২০১৯ সালে যে মামলা করেছে সেই মামলার বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছে মিয়ানমার।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম আইসিজের সাম্প্রতিক একটি বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে মিয়ানমারের আপত্তিতে গাম্বিয়ার এই মামলা করার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে গাম্বিয়ার কাছে মিয়ানমারের তোলা আপত্তিগুলো পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে এবং আগামী মে মাসের ২০ তারিখের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিতভাবে তাদের পর্যবেক্ষণ আদালতে জমা দেয়ার সময় সীমা বেধে দেয়া হয়েছে। তবে, মিয়ানমার আপত্তিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জনসম্মুখে প্রকাশ করে নাই আইসিজে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি এর সহায়তায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। গাম্বিয়ার অভিযোগে বলা হয়েছে প্রায় সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার ওপর নৃশংস অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা গ্রামগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে, হাজারো রোহিঙ্গাকে হত্যা ও আহত করেছে এবং নারীদের ধর্ষণ করেছে।
আইসিজেতে গাম্বিয়ার করা মামলার বিরুদ্ধে মিয়ানমারের আপত্তি জানানোর বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাইলে বাংলাদেশের বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী জিয়া হাবিব ভয়েস অফ অ্যামেরিকাকে বলেন এটা করা হয়েছে মামলার গতিকে বিলম্বিত করার লক্ষ্যে। নিউইয়র্ক ভিত্তিক গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টার বলছে গাম্বিয়ার করা মামলার বিষয়ে মিয়ানমার আপত্তি তোলায় রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়ার বিষয়টি পিছিয়ে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কানাডা, নরওয়ে এবং ফিলিপাইনের কয়েকটি সংগঠনের সম্মিলিত জরিপের ফলাফলে দাবি করা হয়েছে ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসের পর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অন্তত ২৪ হাজার নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।