বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে নিবন্ধন ছাড়াই শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি দেখিয়েই করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ খুরশিদ আলাম শুক্রবার ঢাকায় মুগদা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমন তথ্য জানিয়ে বলেছেন গ্রামাঞ্চলে যারা নিবন্ধন করতে পারছেন না তাদের জন্যই টিকা নেয়ার পদ্ধতি সহজ করার কথা ভাবছে সরকার। সম্প্রতি ঢাকার অদূরে গাজীপুরের কয়েকটি পোশাক কারখানায় এনআইডি এর ভিত্তিতে বিশেষ ব্যবস্থায় বেশ কয়েক হাজার শ্রমিক-কর্মচারীকে সফলতার সাথে টিকা দেয়া হয়েছে।
মহাপরিচালক বলেন করোনা ভাইরাসের টিকা নেওয়ার বয়স সীমা আরেক দফা কমিয়ে ১৮ বছর করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে। এর আগে সম্প্রতি টিকা নেয়ার বয়স সীমা ৩৫ বছর থেকে কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়েছিল। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা বড় ভূমিকা পালন করছে বলে উল্লেখ করে ডা. খুরশিদ আলাম বলেন এই দুর্যোগের হাত থেকে নিজকে এবং দেশকে রক্ষা করতে সকলের টিকা নেয়া জরুরী। প্রয়োজনে ঢাকায় এবং ঢাকার বাইরে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের কথাও জানান তিনি।
এদিকে, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বলেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অব্যাহত থাকবে। জুলাই মাসে প্রকাশিত সংস্থাটির এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এবং রেমিটেন্স প্রবাহ ঠিক থাকলে চলতি বছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৮ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।