যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রক্রিয়ায়, দুজন দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্রাট বার্নী স্যান্ডার্স, মঙ্গলবার নিউ হ্যাম্পশার রাজ্যে প্রাথমিক নির্বাচনে জয়লাভ করেন।
ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদদাতা জিম মেলোন, নিউ হ্যাম্পশার রাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন। পড়ে শোনাচ্ছেন শাগুফতা নাসরিন কুইন।
রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প, আইওয়া ককাসেসে দ্বিতীয় স্থান পাওয়ার পর, নিউ হ্যাম্পশার রাজ্যে গতকাল বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন।
ডনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ভাষণে বলেন “আমরা আবার জিততে শুরু করবো। আমরা এত বার জয়ী হবো যে আপনারা খুবই খুশী হবেন। আমরা আমেরিকাকে আবার মহান করে তুলবো। হয়তো আগের চাইতেও অনেক বেশি। আমি আপনাদের সবাইকে ভালবাসি।”
রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে তা হচ্ছে ওহায়োর গভর্নর জন কেসিক দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন।
জন কেসিক বলেন “এই প্রচার অভিযানে যেন যাদু আছে। কারণ আমরা এই অভিযানকে শুধু আরেকটা নির্বাচনী অভিযান বলে মনে করছি না। আমরা এটাকে সকলের জন্য আরেকটা সুযোগ বলে দেখছি। আমি বলতে চাই, আমেরিকায় পরিবর্তন আনার জন্য আমরা সবাই, আমাদের নিজেদের জীবনের চাইতে আরও বড় এমন একটা কিছুতে সমপৃক্ত হচ্ছি।”
কেসিকের পরের স্থানটি পাওয়ার জন্য জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল কয়েকজন রিপাবলিকান প্রার্থীর মধ্যে---আইয়ার ককাস বিজয়ী টেড ক্রুজ, ফ্লরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ এবং, ফ্লরিডার সেনেটর মার্কো রুবিও।
ডেমোক্রাটিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ভার্মন্টের সেনেটর বার্নী স্যান্ডার্স বিপুল ভোটে হিলারি ক্লিন্টনকে পরাজিত করেন। হিলারি ক্লিন্টন একসময়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন।
বার্নী স্যান্ডার্স তার ভাষণে বলেন “মুষ্টিমেয় কয়েকজন বিত্তশীল ব্যক্তি যারা নির্বাচনী প্রচার অভিযানে অর্থ দেন এবং তাদের রাজনৈতিক অ্যাকশন কমিটি নয়, সকল জনগনের জন্যই রয়েছে আমাদের এই মহান দেশের সরকার।”
ক্লিন্টন তাঁর সমর্থকদের প্রতি আহবান জানান আসন্ন কয়েকটি প্রাথমক নির্বাচন যেখানে তিনি এগিয়ে আছেন, তার দিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য।
হিলারি ক্লিন্টন বলেন “আপনাদের কারণেই আমরা এখানে এসেছি। আর আপনাদের কারণেই আমরা মনোনয়ন পাবো ও নির্বাচনে একযোগে জয়ী হবো। আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।”
নিউ হ্যাম্পশার রাজ্যের সর্বত্র ভোটাররা ভোট কেন্দ্রগুলোতে বিপুল সংখ্যায় ভোট দিতে যান।
নিউ হ্যাম্পশার রাজ্যে শীর্ষ বিজয়ীরা এখন সাউথ ক্যারোলাইনা ও নেভাডায় যাবেন পরবর্তী নির্বাচনের জন্য।
যে রিপাবলিকানরা অনেক পিছিয়ে আছেন তাদের এখন, প্রেসিডেন্ট পদের মনোনয়নের জন্য নিজেদের প্রার্থীত্বের বিষয়টি পুনরবিবেচনা করতে হবে।