জেরুজালেম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এর ঘোষণা পুরো পৃথিবী জুড়েই আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছে। চলছে সমাবেশ, বিক্ষোভ। নিউইয়র্কও এ থেকে বাদ যায়নি। শুক্রবার টাইমস্কয়ারে প্রতিবাদ হয়েছে। সেখানে ছিলেন শাহাদাৎ হোসেন সবুজ। শুনুন তার প্রতিবেদনটি।
কোয়ালিশন অব আরব এন্ড প্যালেস্টানিয়ান আমেরিকান অর্গানইজেশন এর আয়োজনে শুক্রবার বিকালে নিউইয়র্কের ব্যস্ততম পর্যটন এলাকা টাইম স্কয়ারে বিক্ষোভ সমাবেশে শ্লোগান দিয়ে, প্লেকার্ড, ব্যানার হাতে জমায়েত হয়েছিল কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেব স্বীকৃতি দেবার প্রতিবাদে, এই সমাবেশে মূলত আরব বংশদ্ভ‚ত আমেরিকান এবং প্রবাসীরা অংশ নিয়েছেন। তবে তাদের সাথে ছিল কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী। জনা কয়েকজন বাংলাদেশীকেও দেখা গেছে প্রতিবাদী শ্লোগানে শামিল হতে। তাদেরই একজন নিউয়র্কে আইন পেশায় যুক্ত কমিউনিটি এক্টিভিস্ট এন মুজুমদার।
বিক্ষোভ কারীদের মধ্যে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের অংশ গ্রহন ছিল বেশ। ইলিনয় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা কয়েকজন জানানিয়েছেন তাদের প্রতিক্রিয়া।
নিউইয়র্কে ব্রকলীন কলেজে অধ্যায়নরত আরব বংশদ্ভতছাত্রী ইয়াসমীন এ ধরনের প্রতিবাদে সম্পৃক্ত থাকার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন।
প্যালেস্টোইনীদের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানাতে এসেছিলেন আঈনের ছাত্রী বাংলাদেশীজিনাথ জাভিন।
শুক্রবার বিকেলে যখন প্রতিবাদ র্যালী চলছিল তখন শহরের তাপমাত্রা ছিল দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত। এরকম ঠান্ডাতেও ষাটোর্ধ্ব পুরুষ মহিলাদের চোখে পড়েছে সমাবেশে। তাদের একজন ইরতিতা ।
প্রতিবাদ সমাবেশের বিপরীত প্রান্তে প্যালেস্টাইন বিরোধী কিছু মানুষ শ্লোগান দিচ্ছিলেন, সংবাদ মাধ্যমের কাজে তাদের বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে প্যালেস্টোইনীদের দাবীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্লেকার্ড হাতে কয়েকজন জুইস স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের য্ুিক্ত তুলে ধরেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যেসব রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেন তার একটা প্রভাব সমগ্র বিশ্বে পড়ে থাকে। তবে অতি সাম্প্রাত প্রেসিডেন্ড ডনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেম নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বিশ্ব রজানীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যে শান্তি আলোচনা চলছে তা হুমকিতে পড়ে যাবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। শাহাদাৎ হোসেন সবুজ, ভয়েস অব আমেরিকা, টাইমস্কায়ার, নিউইয়র্ক।