জাকার্তায় নাইজেরিয়ার একজন শীর্ষ কুটনীতিককে জোর করে আটকে রাখার বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক বৃহস্পতিবার দুঃখ প্রকাশ করেছে। এই ঘটনার কারণে নাইজেরিয়া ইন্দেনিশয়ায় নিযুক্ত তার রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শের জন্য আবুজায় ডেকে পাঠিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়া এই ঘটনার ভিডিও অনেকের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এতে দেখা গেছে অনেকগুলো লোক একজন অসহায় মানুষকে আটকে রেখেছে এবং এক সময়ে সে চিত্কার করে বলে, “ আমি শ্বাস নিতে পারছি না”। তার মাথা গাড়ির আসনের সঙ্গে আটকে রাখা হয়।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রক এই লোকটিকে জাকার্তায় নাইজেরিয়ার দূতবাসে , “ নাইজেরিয়ার স্বীকৃতি প্রাপ্ত কুটনৈতিক কর্মকর্তা” তবে তারা তার নাম জানায়নি। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র তেউকু ফায়জাসিয়াহ বৃহস্পতিবার বলেন , ৭ই আগস্টের ঘটনার জন্য মন্ত্রক দুঃখ প্রকাশ করছে এবং এ বিষয়ে নাইজেরিয়ার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরও বলেন, “ ঐ ঘটনাটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল এবং কুটনৈতিক সম্পর্কে বিষয়ে ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী স্বাগতিক দেশ হিসেবে দায়িত্বপালনের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হচ্ছে না”।
তিনি আরও বলেন যে আইন ও মানবাধিকার মন্ত্রক এই ঘটনার পরবর্তী পদক্ষেপ অনুযায়ী একটি অভ্যন্তরীন তদন্ত শুরু করেছে। ফায়জাসিয়াহ আরও বলেন যে পররাষ্ট্র মন্ত্রক এবং নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বুধবার বৈঠক হয়েছে যেখানে তাঁরা উভয় দেশের সুসম্পর্ক বিষয়ে কথা বলেছেন।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিওফ্রে ওনিয়ামা এই ঘটনার কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং একে “ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের দ্বারা আন্তর্জাতিক কর্তব্যহীনতার জঘন্য ঘটনা” বলে অভিহিত করেছেন। পররাষ্টর মন্ত্রকের মুখপআত্র এসথার সুনসুওয়া বলেছেন নাইজেরিয়ার সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথার্থ নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানাচ্ছে এবং পরামর্শের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত তার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে , দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করে দেখেছে।