অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বলিষ্ঠ অবস্থানের প্রশংসা করেছে জাপান


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার জাতিসংঘে তাঁর প্রথম ভাষণ দিয়েছেন। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, তিনি তার নির্বাচনী অভিযানের সময় এবং তারপর বারবারই যে কথাটি বলেছেন, তার শ্লোগান বলা যায়, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ কিছুটা সেই ধরণের বক্তব্য রেখেছেন। জাতিসংঘের আরো কিছু করার আছে এবং তারপর দূর্বৃত্ত রাষ্ট্রের বিষয় উল্লেখ করেছেন।

বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, 'rogue state rocket man on a suicidal mission.' তারপর উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসককে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তারা দেশে অনহারে যারা প্রান হারাচ্ছে সেই দেশের মানুষকে অবহেলা করে, বঞ্চিত করে তার কথায়, 'reckless pursuit of nuclear weapons' পারমানবিক অস্ত্র তৈরীর চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। তবে তিনি একথাও বলেন যে তিনি আশা করছেন, কোন সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন হবে না।

এই ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের রক্ষণশীল সরকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার উস্কানীমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে যে বলিষ্ঠ অবস্থান নিয়েছেন তার প্রশংসা করেন। উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি জাপানের আকাশসীমায় ২টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। জাপানের ক্যাবিনেট সেক্রেটারী ইওশিহিদে সুগা বলেন, 'আমরা মনে করি যে তিনি আমাদের যে লক্ষ্য অর্থাৎ কোরিয়া উপদ্বীপে পারমানবিক শক্তি নির্মূল করা, সে বিষয়টি জোরালোভাবে পুনর্ব্যক্ত করেছেন।'

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন জাতিসংঘে ভাষণ দিতে যান উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তখন সাধারণ পরিষদ থেকে বেরিয়া যান। অনেকে মনে করছেন এই জোরালো বক্তব্যের ফলে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে একটা কূটনৈতিক সমাধান আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

অপরদিকে, উত্তর কোরিয়া লিবিয়ার উদাহরণ দিয়ে এই যুক্তি তুলে ধরছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার নেটো মিত্র জোটের সমর্থনে যেমন লিবিয়ার নেতা মোয়ামার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যূত করা হয় এবং পরে তাকে হত্যা করা হয়, সেই উদাহারণ দেখেই উত্তর কোরিয়া তার পারমানবিক কর্মসূচীর সমর্থনে যুক্তি তুলে ধরছে, যাতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে লিবিয়ার অবস্থা না হয়।

XS
SM
MD
LG