ইংরিজি প্রবাদ বলে, ওল্ড ইজ গোল্ড। কথাটি বিলক্ষণ সত্যি অন্তত পুরনো মুদ্রা ও টাকার নোটের ক্ষেত্রে। কখন যে কেন বিশেষ কোনও বছরের বা নকশার মুদ্রা বা নোটের জন্য সংগ্রাহকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়, তা বলা শক্ত। কিন্তু সংগ্রাহকেরা পছন্দের নোট বা মুদ্রার জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করতে তৈরি। যেমন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ১৯৭৭ আর ১৯৭৮ সালে সরকারের অর্থ সচিব থাকবার সময় তাঁর সই-করা এক টাকার নোটের এখন দর যাচ্ছে কয়েক লক্ষ টাকা। কিংবা, আরেক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধীর মুখের ছবি দেওয়া পাঁচ টাকার মুদ্রা কারোর কাছে থাকলে মিলে যেতে পারে ৫০ হাজার টাকা। বোঝা কঠিন সংগ্রাহকেরা কখন কোন মুদ্রা বা নোট সংগ্রহ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। কিন্তু বিপদ হল, মুদ্রার ক্ষেত্রে অনেক সময় জাল মুদ্রা কিনে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সম্প্রতি বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৫ পয়সার মুদ্রা। কিন্তু হাতে যদি মুদ্রার এক পিঠে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতীক ও অন্য পিঠে খেজুর গাছের ছাপ দেওয়া ওই ২৫ পয়সার মুদ্রা থাকে, কপালে নাচছে অন্তত ১৫ হাজার টাকা।