অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্যারিসের সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে voa-রিপোর্ট,বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য-মূকাভিনেতা পার্থ প্রতিমের বক্তব্য


প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক ষ্টেট জঙ্গী গোষ্ঠী। শনিবার এক বিবৃতিতে তারা বলেছে তাদের ওপর বিমান হামলার জবাব এটি।

প্যারিস শহরের ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক ওই হামলায় নিহত হয়েছেন ১২৭ জন। ফরাসী প্রসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছেন। ইসলামিক ষ্টেটের এই জঘন্য হামলাকে যুদ্ধ আখ্যা দিয়ে প্রেসিডেন্ট ওলান্দ বলেছেন, এই বর্বরতার জবাব দেবে ফ্রান্স এবং বলেন ফরাসী নিরাপত্তা বাহনীকে তিনি প্রস্তুত রেখেছেন।

সন্ত্রাসীরা আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও আত্মঘাতি বোমা ব্যাবহার করে ঐ হামলার ঘটনায়। কর্তৃপক্ষ বলছেন তাদের ধারণা হামলাকারীরা ছিল ৮জন যারা সকলেই আত্মঘাতি হামলায় অথবা ফরাসী নিরাপত্তা কর্মীদের গুলিতে নিহত হয়। তাদের কোনো সঙ্গী বা সহযোগী রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ওলান্দ প্যারিসবাসীদেরকে শনিবার ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। ১৫০০ সেনা সদস্য নামানো হয়েছে প্যারিস শহরে টহল দিতে। রবিবার তুরস্কে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেয়ার কথি ছিল ওলান্দের। তিনি তা বাতিল করছেন।

ফ্রেঞ্চ সীমান্তগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রসিডেন্ট ওলান্দ। তবে প্রধান বিমানবন্দর খোলা থাকবে এবং ট্রেন চলবে।

শুক্রবারের প্যারিসের ব্যাটাক্ল্যান কনসার্ট হলে দুই বা তিনজন অত্যাধুনিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হামলা চালালে সেখানেই বহু মানুষ মারা যান। পরে পুলিশ ঐ ভবন ঘিরে তিন হামলাকারীকে হত্যা করে। অন্যেরা মারা যায় আত্মঘাতি বোমায়।

ঐ কনসার্ট হলে অন্তত ১ হাজার দর্শক ছিলেন। আমেরাকান একটি ব্যান্ডের গান চলছিল। হঠাৎ গুলির শব্দে তা থেমে যায়। গুলির শব্দ হওয়ার সাথে সাথেই বহু মানুষ প্রাণভয়ে হল থেকে বেরিয়ে যান।

প্যারিসের অন্য কয়েকটি এলাকায়ও তখন সন্ত্রাসীদের তান্ডব চলছে। দেশের জাতীয় ষ্টেডিয়াম যেখানে ফ্রান্স ও জার্মানীর ফুটবল খেলা চলছিল; যাতে প্রেসিডেন্ট ওলান্দ নিজেই উপস্থিত ছিলেন; তার বাইরে ঘটে প্রথম বোমা বিস্ফোরণ। প্রেসিডেন্টকে তখন ষ্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। তখন ষ্টেডিয়ামের বাইরে আরো কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে।

প্যারিসর অন্য একটি এলাকায় এক কম্বোডিয়ান রেস্টুরেন্টে এবং আরো কয়েকটি ক্যাফে এবং বারেও ঘটে পৃথক পৃথক হামলা। কর্তৃপক্ষের মতে ঐসব হামলায় সব মিলে ২০০ মানুষ আহত হন যাদের মধ্যে ৮০ জনের অবস্থা আশংকাজনক।

ঘটনার পর ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্যারিস হামলাকে সাধারন নাগরিকদের ওপর বর্বর আক্রমন উল্লেখ করে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র যে কোনো সাহায্যের জন্যে প্রস্তুত রয়েছে।

ভাইস প্রেনসিড৪এন্ট জো বাইডেন বলেছেন এ ধরনের ঘৃন্য হামলা করে কাউকে ভয় দেখানো যায়না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরী একে নীচ জঘন্য কাজ আখ্যা দিয়েছেন। প্রতিরনক্ষামন্ত্রী এ্যাশ কার্টার বলেছেন এটি বর্বর হামলা যা সাধারন মানবতার মর্যাদা নষ্ট করেছে।

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন টুইটারে বলেছেন যাযা প্রয়োজন ফ্রান্সের সাহায্যে আমরা সব করতে প্রস্তুত। জাতিসংঘ মহসচিবের মুখপাত্র ঐ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। ভ্যাটকানের এক বার্তায় পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন এ ধরনের সংঘাত ও বিদ্বেষপূর্ন ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত শোকাহত।

please wait
Embed

No media source currently available

0:00 0:03:02 0:00


প্যারিসের সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলামের সঙ্গে ভয়েস অফ এ্যামেরিকার ওয়াশিংটন স্টুডিও থেকে টেলিফোনে কথা বলেন সরকার কবীরূদ্দীন:

please wait
Embed

No media source currently available

0:00 0:02:38 0:00

প্যারিসে বসবাসকারি ফরাসী-বাংলাদেশি নাগরীক মূকাভিনেতা পার্থপ্রতিম মজুমদারের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেন সরকার কবীরূদ্দীন:

please wait
Embed

No media source currently available

0:00 0:03:05 0:00

XS
SM
MD
LG