গেল কিছুদিন ধরে পুলিশের কোনো কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা, হয়রানি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণিতও হয়েছে। মাত্র এক মাসেই ১৯ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। মাত্র কিছুদিনে বাংলাদেশ ব্যাংক, সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তা করার পরে সবশেষ অভিযোগটি উঠেছে একজন ক্ষুদ্র চা দোকানীকে চাদা না দেয়ায় পুড়িয়ে মারার ঘটনায়। এসব কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে খোদ ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দায়ী পুলিশদের দ্রুত বিচার আইনে বিচার করার দাবি জানিয়েছেন।
বিরোধী দল বিএনপি বলছে, রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের কারণে পুলিশের এই পরিস্থিতি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান পুলিশে বড় ধরনের সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো অনেক দিন ধরেই পুলিশের ভূমিকার ব্যাপারে সোচ্চার। বর্তমানে তাদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। পুলিশের বর্তমান ভূমিকা সম্পর্কে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর প্রধান ও বিশিষ্ট মানবাধিকার সক্রিয়বাদী অ্যাডভোকেট আদিলুর রহমান খান।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দুই-একটি ঘটনা ঘটায় উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
বিশিষ্টজনদের অভিমত আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনীটিকে যেকোনো মূল্যে তাদের যথাযথ ভূমিকা পালনকারী হিসেবেই গড়ে তুলতে হবে। প্রয়োজনে যেতে হবে বড় ধরনের সংস্কারে। ঢাকা থেকে আমীর খসরু।