অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

‘পোটোম্যাক থেকে পদ্মা-গঙ্গা’: রবিবাসরীয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান (পর্ব ১)


শ্রোতাদের দাবির প্রেক্ষিতেই আমরা আবার শুরূ করছি রবিবাসরীয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান – একটুখানি ভিন্নতর আঙ্গিকে, একটুখানি নাম বদলিয়ে, পোটোম্যাক তীরের কথা শোনাতে পদ্মা পারের- গঙ্গাপারের দর্শক-শ্রোতাদেরকে শোনাতে একটুসখানি নাম বদলিয়ে আবার শুরু ক’রছি ‘পোটোম্যাক থেকে পদ্মা-গঙ্গা’।

প্রথমেই ঈদ-রমজান প্রসঙ্গ ।

ইদুল ফিতর এইতো আর ক’দিন পরেই – সিয়াম সাধনার মাস রমযানও, এই শেষ হয়ে এলো প্রায়। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে মুসলীম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতবৃন্দ এবং কূটনীতিকদেরকে আমন্ত্রণ জানান হোয়াইট হাউসে ইফতার পার্টীতে। বলেন – রমজান হ’লো সেই সময় মানুষ যখন কিনা আশা,সহণশীলতা আর শান্তির অন্বেষায় একতাবদ্ধ হয় - এককাট্রা হয় ঐ চেতনায়।

এবারকার ইফতার পার্টী ছিলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় ইফতার পার্টী। দু’হাজার সতেরোয়, ১৯ শ’ ছিয়ানব্বুই সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট বীল ক্লিনটনের সূচীত ঐতিহ্যধারা ভঙ্গ হয়েছিলো – কোনো ইফতার পার্টী হয়নি সেবারে। ইতিমধ্যে, এ্যামেরিকান মূসলিম গোষ্ঠীগুলো প্রেসিডেন্টের বাগড়ম্বরতা-নিতিমালায়, ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত ক’রেছে- কিন্তু তার পরেও প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে বলা হয় – এ্যামেরিকা হ’লো সেই দেশ যে দেশ কিনা প্রতিষ্ঠিতই হ’য়েছে ঐ আদর্শের ভিত্তিতে যাতে বলা হয় – সকল ধর্ম বিশ্বাসের মানুষ এখানে বাস ক’রবে একই সঙ্গে মহা মিলনের মিলন মেলায়।

এ্যামেরিকার স্বাধীনতা দিবস বা জন্মদিন যাই বলুন, জুলাই মাসের চার তারিখ ফোর্থ অফ জুলাই। এ দিন সরকারী ছুটির দিন স্বভাবত:ই। এ দিনে মানুষ পার্টী করে – গান বাজনা করে, ঘরের পেছেনের আঙ্গিনায় বার-বা-কিউ করে – বেড়াতে যায়, কুচকাওয়াজ – শোভাযাত্রায় অংশ নেয় বা সেসব দেখতে যায় দঙ্গল বেঁধে। আর সন্ধ্যায়, সব শহর নগরেই প্রায় আতসবাজির উৎসব হয়। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির এই আতসবাজির উৎসব হয় ওয়াশিংটন মলে লিকংন মেমোরিয়ালের দু’ধার ঘেঁসে। আগের রাত থেকে যে আতসবাজির উৎসব দেখতে – মলের সঙ্গীতানুষ্ঠান উপভোগ ক’রতে হাজার হাজার মানূষ জমায়েত হতে দেখা যায় প্রতি বৎসরই। এই আতসবাজির উৎসব এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনের মতো ক’রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হ’চ্ছে সেই সাতচল্লিশ সাল থেকে চ’লে আসা পট বদলিয়ে, আগের যায়গার পৌনে এক মাইল দক্ষিন-পশ্চিমে, ওয়েস্ট পোটোম্যাক পার্কে। এখন নাম দেওয়া হবে এ স্বাধীনতা দিবস উৎসবের A Salute to America. প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ ভাবে রাজধানীতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের চিন্তা ক’রে আসছেন প্রায় বছর দু’ই যাবত – অনেকটাই, ফ্রান্সের সেই ব্যাস্টিল ডে’র আদলে। এ বার মাস তিনেক আগে থেকেই ট্রাম্প স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভীড বার্ণহার্ডকে সেইমতো দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। গেলো বছর কেবল এই আতসবাজি উৎসব বাবদেই খরচ হয়েছিলো প্রায় আড়াই লক্ষ ডলার – এবার এজন্যে করদাতাদের কি পরিমান অর্থ ব্যয় হবে – সেটা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।

প্রতি বছর – গত ছ’ বছর যাবৎ - এই মে মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে, অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ফাঙ্ক মিউজিক প্যারেড। আফ্রিকী-এ্যামেরিকান সঙ্গীতের তালে ঢাকঢোল-বাঁশি বাজিয়ে নেচে গেয়ে নারী পুরুষ রাস্তায় রাস্তায় আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে ঐ ফাঙ্ক মিউজিক প্যারেডে। এ বছর এটা পালনে সামান্য বিঘ্ন ঘটিয়েছিলো আবহাওয়া। বৃষ্টি বাদল সিক্ত দিনটি কিন্ত তার পরেও মুখর হয়েছিলো নারী পুরুষের অনাবিল উৎসব আনন্দে – প্রতি বছর যেমনটি কিনা হয়ে আসছে সেই দু’ হাজার চোদ্দ সাল থেকে। এবার অবশ্য কাছেরই এক বিলাসবহুল এ্যাপার্টমেন্ট ভবনের এক বাসিন্দার আপত্তির কারণে সামান্য কিছুক্ষনের জন্যে গান বাজনা থামাতে হয়েছিলো কিন্তু সে ঐ সামান্য কিছক্ষনের জন্যেই। তার পর আবার শনিবার অপরাহ্নের পরিবেশ ফাঙ্ক মিউজিক প্যারেডের শব্দে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়েছিলো বিশেষ ক’রে ওয়াশিংটন ডিসির ইউ স্ট্রীটের গোটা এলাকা

রবিবাসরীয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান পোটোম্যাক থেকে পদ্মা-গঙ্গার আজকের পরিবেশনা এ পর্যন্তই। আবার হাজির হবো আগামী সপ্তাহে – এই একই দিনে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:06:24 0:00

XS
SM
MD
LG