২০১৬ সালে যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রেপাবলিকান সেনেটর র্যান্ড পল এবং মার্কো রুবিও অল্প সময়ের মধ্যেই প্রচারণায় নামছেন। হিলারী ক্লিনটন রবিবার তার ফেসবুক ও টুইটারে প্রচারণা শুরু করতে যাচ্ছেন এবং জেব বুশসহ অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীরাও অপেক্ষায় আছেন প্রচারণা শুরু করার। এ নিয়ে রিপোর্ট করেছেন ভয়েস অব আমেরিকার জাতিয় সংবাদদাতা জিম মেলোন। শোনাচ্ছেন সেলিম হোসেন।
হিলারী ক্লিনটন এবং জেব বুশ কেনো এ্যাতো আলোচনায় তা বোঝা কঠিন নয়। আমেরিকান ভোটারদের কাছে দুজনই বেশ ভালোভাবে পরিচিত এবং শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। দুজনই তহবিল সংগ্রহে দক্ষ এবং দুজনেরই রয়েছে দলীয় নেতাদের শক্ত সমর্থন।
তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত রিপাবলিকানদের বড় একটি দল এবং কিছু ডেমোক্রেট ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে দৌড়ঝাপ করছিলেন, বিশ্লেষকদের ধারণা তারা থামবেন না।
রিপোবলিকান শিবিরে সামাজিক রক্ষনশীলরা নিউরোসার্জন বেন কারসনের প্রার্থীতার বিষয়ে রয়েছেন আগ্রহী হয়ে।
কারসন:
“আমরা স্বাধীন ও সাহসীদের দেশে বাস করি। আপনি যদি সাহসী না হন তবে মুক্ত হতে পারবেন না।“
রিপাবলিকানরা পররাস্ট্র নীতি বিষয়ে বেশ উদ্বিগ্ন; যেমনটি বললেন জাতিসংঘের সাবের রাস্ট্রদূত জন বল্টন।
বল্টন:
“দেশ রক্ষার চেয়ে বড়ো দায়িত্ব প্রেসিডেন্টের নেই। অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয় রয়েছে; রয়েছে অর্থনীতিসহ অনেক বিষয়। কিন্তু দেশই যদি বিপদের মুখে থাকে তবে অন্য সবকিছু গৌন হয়ে যায়। আমি মনে করি মানুষ তা বুঝবে এবং বিতর্কে ওইসবই শুনতে চাইবে”।
রিয়েল এস্টেট ব্যাবসায়ী ও টেলিভিশন উপস্থাপক ডনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন।
ট্রাম্প:
“আমার টেলিভিশন শো বেশ জনপ্রিয়। আমার চমৎকার একটি জীবন। আমার ব্যাবসা আমি ভালোবাসি। কিন্তু এই দেশটি নষ্ট হওয়ার দিকে যাচ্ছে”।
সাবেক পররাস্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন ডেমোক্রেটিক দলের সবচেয়ে শক্তিশালি ও সম্ভাব্য প্রার্থী। কিন্তু তবুও তিনি বাধামুক্ত নন। সাবেক ম্যারিল্যান্ড গভর্নর মার্টিন ও মালি তার প্রতিদ্বন্দ্বী।
মালি:
“আমি মনে করি আমাদের দেশ সর্বদাই নতুন নেতৃত্ব থেকে লাভবান হয় নতুন নতুন কাজ হয়। সত্যি কথা বলতে যুক্তরাস্ট্রের এই প্রেসিডেন্সী কোনো পারিবারিক বংশানুক্রমিক বিষয় নয় যে দুই পরিবারের মধ্যে চলবে”।
কুইনিপিয়াক পোলস্টার পিটার ব্রাউন বললেন,
ব্রাউন:
“ঐতিহাসিকভাবে এইসব নামী প্রার্থীরা সবাই যে ভালৈা করবেন তা নয়। সুযোগ পেলে আর ভালোভাবে প্রচারণা চালালে আইওয়া ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের ন্যায় স্টেটে প্রাইমারীতে যারা ভালো করবেন তারাই হবেন সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী”।
রিপাবলিকান দলে পরিস্কারভাবে কেউ এগিয়ে না থাকায় প্রাইমারীতে তাদের জন্যে যুদ্ধটা হবে বড়, বললেন রিপাবলিকান বিষ্লেষক ফোর্ড ও কনেল।
কনেল:
৪০ বছরে সম্ভবত এই প্রথম আমাদের কোনে সম্ভাব্য শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। যে কোনো কিছু ঘটতে পারে। ১০ থেকে ১২ জন প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে”।
রিপাবলিকান দলের আর সম্ভাব্য র্প্র্থীদের মধ্যে রয়েছেন হওলেট প্যাকার্ড সিইও কার্লি ফিওরিনা, লুইজিয়ানা গভর্নর বব্বি জিনদাল এবং সাবেক নিউইয়র্ক গভর্নর জর্জ প্যাটাকি।
ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভার্মন্টের সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এবঙ সাবেক ভার্জিনিয়া সেনেটর জিম ওয়েব অংশ নিচ্ছেন।