মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে বৌদ্ধদের বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির চলমান সশস্ত্র সংঘাত-সহিংসতায় গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫১ হাজার রাখাইনের অধিবাসী - যাদের মধ্যে বিশাল সংখ্যায় রোহিঙ্গা রয়েছেন - তারা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। এই বাস্তুচ্যুত রাখাইনের অধিবাসীদের একটি অংশ রাখাইনের ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু গত কয়েক দিনের বন্যার কারণে গত দুই-তিনদিন সময়েই রাখাইনে ১৫টি ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাসহ ১৬ হাজার জনকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে বলে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় কমিশনের মানবিক সহায়তাকারী সংস্থা এবং মিয়ানমারের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে। উত্তর রাখাইনে গত এপ্রিল মাস থেকে রাতে কারফিউ বলবৎ থাকা এবং ইন্টারনেটসহ এ জাতীয় সকল সেবা বন্ধ থাকায় ত্রাণসহ বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। মিয়ানমারে উত্তর রাখাইনের পালামেন্ট সদস্য ইউ থুন থার সেইন- এর বরাতে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বন্যা পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তার খবরাখবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আসছে না।
ঢাকা সংবাদদাতা আমীর খসরুর প্রতিবেদন।