সুন্দরবন সংলগ্ন রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিলসহ ৭ দফা দাবিতে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ডাকে রাজধানী ঢাকায় আধাবেলা হরতালে পুলিশের বাধা প্রদান, দফায় দফায় সংঘর্ষে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট নিক্ষেপ, জলকামান ব্যবহার এবং লাঠিপেটা করা হয়েছে। এতে টেলিভিশনে কর্মরত দুইজন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছেন-যার মধ্যে কমপক্ষে ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যে ২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, পুলিশ তাদের বেধম-প্রহার করেছে এবং পরে এতে পুলিশের একজন এএসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পুলিশ ৮ হরতাল পালনকারীকে আটক করেছে।
হরতাল সমর্থকদের একাংশ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহবাগ মোড়ে আসার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এতে দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয় এবং হরতালকারীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট নিক্ষেপ, লাঠিপেটা এবং জলকামান ব্যবহার করে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, রাস্তাঘাট বন্ধ করে কাউকে হরতাল পালন করতে দেয়া হবে না।
তেল-গ্যাস, বিদ্যুৎ বন্দরক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ হরতালে হামলা করা হয়েছে।
ঢাকায় হরতালে হামলার প্রতিবাদ ও ভবিষ্যত কর্মসূচি হিসেবে ২৮ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও ১১ মার্চ খুলনায় সমাবেশ কর্মসূচি আহবান করা হয়েছে।
সংঘর্ষের কারণে শাহবাগসহ আশপাশের পুরো এলাকায় যানবাহন চলাচল বেশ কিছু সময় বন্ধ ছিল। নগরীর অন্যান্য স্থানে যানবাহন চলাচল করেছে; আর বেলা বাড়ার সাথেসাথে যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
এদিকে, রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমর্থনে খুলনা-বাগেরহাট সড়কের একাংশে দক্ষিণাঞ্চলীয় উন্নয়ন পরিষদ নামের একটি সংগঠন মানববন্ধন করেছে। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা তালুকদার আবদুল খালেক বক্তব্য দেন। ওই মানববন্ধন থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে উন্নয়নের স্বপক্ষে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।...ঢাকা থেকে আমীর খসরু