আজ জগন্নাথের উল্টো রথযাত্রা। পুরীতে দু'দিন ধরে টানা প্রবল বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ভেসে যাওয়া থেকে আরও নানান ধরনের ঝামেলা পেরিয়ে, বিতর্ক এড়িয়ে শেষ পর্যন্ত যাত্রা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে কলকাতাতেও দিনভর বৃষ্টির মধ্যেই ইসকনের উল্টো রথযাত্রা শেষ হলো। বিকেলে বৃষ্টি একটু কমায় নানা জায়গায় উল্টো রথের মেলা জমে উঠেছে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে হিন্দু বাদে অন্য ধর্মের মানুষের প্রবেশ নিষেধ। এমনকি ইন্দিরা গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখনও তিনি ওই মন্দিরে প্রবেশাধিকার পাননি, কারণ মন্দির কর্তৃপক্ষের মতে, পার্শি ফিরোজ গান্ধীকে বিয়ে করার ফলে ইন্দিরা আর হিন্দু নন। এ হেন গোঁড়া নিয়ম পাল্টে পুরীর মন্দিরে অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে পরামর্শ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ফলে মৌমাছির চাকে ঢিল পড় মতো অবস্থা। প্রথমে রথযাত্রা, তার সাত দিন পর উল্টো রথের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মন্দির কমিটি ওই বিষয়ে আলোচনার সময় পায়নি। দিন কয়েক পরে তাঁরা বৈঠকে বসে কী করণীয়, ঠিক করবেন।
এদিকে আজ রবিবার ছুটির দিনে কলকাতার পাড়ায় পাড়ায় উল্টো রথ টানা চলছে, বসেছে উল্টো রথের মেলা। যে কোনও মেলার অঙ্গ পাঁপড় ভাজা। দক্ষিণ কলকাতার একটি পাড়ার মেলাতেও লোকজন ঘুরে ঘুরে পাঁপড়, ফুচকা, ঘুগনি খাচ্ছে আর টুকটাক জিনিস কিনছে। তবে আগে রথের মেলায় যেমন মাটির পুতুল, কাঠের খেলনা পাওয়া যেত, সেগুলো অনেক দিন ধরেই উধাও। সেই সব চমৎকার হস্তশিল্পের জায়গা নিয়েছে শস্তা প্লাস্টিকের খেলনা। তাতেও লোকের উৎসাহে খামতি নেই।