লণ্ডনে ২০১২ অলিম্পিক উৎসবের একবছর পূর্তিতে এখন অনেকেই পিছনের দিকে তাকিয়ে ভাবছেন – বাহ্ বেশ সফল অলিম্পিক হয়েছিল বটে। সংগঠক কর্মকর্তারা বলছেন অলিম্পিকের থেকে যা সাফল্য আশা করা হয়েছিল, ঠিক সেটাই হয়েছে।
লণ্ডন থেকে ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদদাতা এ্যাল পেসিনের প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত শোনাচ্ছেন রোকেয়া হায়দার
মনে হয় অনেকদিন পেরিয়ে গেল, কত মানুষজনের ভীড়ে ভরে উঠেছিল লণ্ডনের পথঘাট। বিদেশী পর্যটক, অলিম্পিক ভক্তরা যে যার দেশীয় পোশাক পরে, নিজেদের ভাষার কলকাকলিতে ভরে তুলেছিলেন অলিম্পিক নগরী – লণ্ডন, জাতীয় খেলোয়াড়দের উত্সাহ যুগিয়েছে নানা ধ্বনি দিয়ে। এখন মাঝে মধ্যে অলিম্পিক পার্কে কিছু খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। তবে স্টেডিয়াম আর ঐতিহাসিক টাওয়ারটি নীরব দর্শকের মত একেবারে যেন শূণ্যমন্দির। কাছাকাছি রয়েছে নতুন ঝকঝকে বিপণী বিতান, তবে ধারের হাই স্ট্রিট অলিম্পিকের আগের সময়ের মতই মনে হয় খালি খালি। দোকানপাটে খুব একটা ক্রেতার ভীড় নেই। স্টিভ নামে পরিচয় দিয়ে একজন বললেন তিনি ২০ বছর ধরে ওই অঞ্চলে বাস করেন ঃ১
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল যেন কোন দালান তৈরীর জায়গা, ছুটি কাটানোর পার্কের মত। এখন সবাই চলে গেছে - মনে হয় যেন কোন সার্কাস দল শহর মাতিয়ে চলে গেছে’।
কর্মকর্তারা অলিম্পিক এলাকায় যে সব নতুন এপার্টমেন্ট, অফিস তৈরী হয়েছে সেসব কথা বলেন, কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা তাতে তেমন খুশী নয়।একজন ছাত্রী মারিয়া বললেন, ‘হ্যাঁ যথেষ্ট রাজ্যদ্ব আয় হয়েছে তবে তা একবারের ব্যাপার। দীর্ঘ মেয়াদে এই অঞ্চলের যে খুব একটা লাভ হয়েছে তা নয়’। আরেক ব্যক্তি ফ্রান্সিস তার বক্তব্য – ৩ ‘অনেকে চাকরী পেয়েছে, তবে দেখা যাক আজ থেকে পাঁচ বা ১০ বছরে পরিস্থিতি কি দাঁড়ায়’।
তার কথাই ঠিক। ইস্ট লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার এ্যালান ব্রিমিকোম্ব যেমন বললেন, তিনি অলিম্পিকের প্রভাব সম্পর্কে ১০টি বছর ধরে গবেষণা করছেন – লণ্ডন যখন প্রথম অলিম্পিক আয়োজনের আবেদন জানিয়েছিল। তিনি বলেন, ৪ ‘সেই ধারাবাহিকতা থাকবেই কিন্তু এখনই কিছু বোঝা যাবে না। সেই ধরণের লাভ ধীর গতিতে এগিয়ে চলে, এখন এটা রাজনীতিকদের ওপর নির্ভর করছে তারা যেন নিশ্চিত করেন যে, এ থেকে যা পাওয়ার কথা সেটা যেন সত্যিকারভাবে পাওয়া যায়’।
লণ্ডন থেকে ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদদাতা এ্যাল পেসিনের প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত শোনাচ্ছেন রোকেয়া হায়দার
মনে হয় অনেকদিন পেরিয়ে গেল, কত মানুষজনের ভীড়ে ভরে উঠেছিল লণ্ডনের পথঘাট। বিদেশী পর্যটক, অলিম্পিক ভক্তরা যে যার দেশীয় পোশাক পরে, নিজেদের ভাষার কলকাকলিতে ভরে তুলেছিলেন অলিম্পিক নগরী – লণ্ডন, জাতীয় খেলোয়াড়দের উত্সাহ যুগিয়েছে নানা ধ্বনি দিয়ে। এখন মাঝে মধ্যে অলিম্পিক পার্কে কিছু খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। তবে স্টেডিয়াম আর ঐতিহাসিক টাওয়ারটি নীরব দর্শকের মত একেবারে যেন শূণ্যমন্দির। কাছাকাছি রয়েছে নতুন ঝকঝকে বিপণী বিতান, তবে ধারের হাই স্ট্রিট অলিম্পিকের আগের সময়ের মতই মনে হয় খালি খালি। দোকানপাটে খুব একটা ক্রেতার ভীড় নেই। স্টিভ নামে পরিচয় দিয়ে একজন বললেন তিনি ২০ বছর ধরে ওই অঞ্চলে বাস করেন ঃ১
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল যেন কোন দালান তৈরীর জায়গা, ছুটি কাটানোর পার্কের মত। এখন সবাই চলে গেছে - মনে হয় যেন কোন সার্কাস দল শহর মাতিয়ে চলে গেছে’।
কর্মকর্তারা অলিম্পিক এলাকায় যে সব নতুন এপার্টমেন্ট, অফিস তৈরী হয়েছে সেসব কথা বলেন, কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা তাতে তেমন খুশী নয়।একজন ছাত্রী মারিয়া বললেন, ‘হ্যাঁ যথেষ্ট রাজ্যদ্ব আয় হয়েছে তবে তা একবারের ব্যাপার। দীর্ঘ মেয়াদে এই অঞ্চলের যে খুব একটা লাভ হয়েছে তা নয়’। আরেক ব্যক্তি ফ্রান্সিস তার বক্তব্য – ৩ ‘অনেকে চাকরী পেয়েছে, তবে দেখা যাক আজ থেকে পাঁচ বা ১০ বছরে পরিস্থিতি কি দাঁড়ায়’।
তার কথাই ঠিক। ইস্ট লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার এ্যালান ব্রিমিকোম্ব যেমন বললেন, তিনি অলিম্পিকের প্রভাব সম্পর্কে ১০টি বছর ধরে গবেষণা করছেন – লণ্ডন যখন প্রথম অলিম্পিক আয়োজনের আবেদন জানিয়েছিল। তিনি বলেন, ৪ ‘সেই ধারাবাহিকতা থাকবেই কিন্তু এখনই কিছু বোঝা যাবে না। সেই ধরণের লাভ ধীর গতিতে এগিয়ে চলে, এখন এটা রাজনীতিকদের ওপর নির্ভর করছে তারা যেন নিশ্চিত করেন যে, এ থেকে যা পাওয়ার কথা সেটা যেন সত্যিকারভাবে পাওয়া যায়’।