কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডে ১৪টি ঘর পুড়ে গেছে। গত রাত দেড়টার দিকে এই অগ্নিকান্ডে ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে গ্যাস সিলিল্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।বাঁশ, চট ও পলিথিনে তৈরি ঘরগুলো একটার সাথে অন্যটি সংযুক্ত। প্রতিটি ঘরে বসবাস করতো দুটি করে পরিবার। আগুন লাগার পর মুহুর্তেই সবক’টি ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ১৪টি ঘর ও এসব ঘরে বসবাসরত ২৮টি পরিবারের পরিধেয় বস্ত্র ও ত্রাণসামগ্রী।
গত ৩১ আগস্ট টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহারাদার ইয়াছেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর ৩ দিনের মাথায় লেদা ক্যাম্পের অদূরে চাকমারকূল পাহাড়ি এলাকা থেকে গলা কাটা জখম অবস্থায় ৩ রোহিঙ্গা যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। এর ১দিন পরেই চাকমারকুল ক্যাম্পে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ভ্রাম্যমান ফায়ার সার্ভিসের কাজ শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেশ কিছু অগ্নিকান্ড মহড়াও করা হয়েছে।গত ১১ জানুয়ারী উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় রোহিঙ্গা ৩শিশু এবং এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিলের রিপোর্ট।