গত বছরের ঈদুল আযহা বা কোরবানীর ঈদের সময় রোহিঙ্গাদের জীবন ছিল নানা সংশয় ও অনিশ্চয়তায়। সীমান্ত জুড়ে ছিল রোহিঙ্গাদের প্রাণ বাঁচানোর দৌঁড়-ঝাঁপ। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছিল সীমান্তের শূণ্যরেখায়, বন-জঙ্গল, পাহাড় আর ধানক্ষেতে। ভয়েস অব আমেরিকার এই প্রতিবেদক গত বছরের ঈদুল আযহার সময় সীমান্তে রোহিঙ্গাদের যে পরিস্থিতি দেখেছিলেন, তা অবর্ণনীয়।
সে তুলনায় এবারের ঈদুল আযহা অনেক আনন্দের। ক্যাম্পগুলোতে অনেক শিশু নতুন জামা-কাপড় পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অনেকেই চড়ছে নাগরদোলায়। ক্যাম্পের মসজিদে মসজিদে হয়েছে ঈদের জামায়াত।
অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী ত্রাণের পাশাপাশি ঈদে কোরবানীর মাংস পাচ্ছেন রোহিঙ্গারা। সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতার সূর রোহিঙ্গাদের মুখে।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে ৩০টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া ১ লাখ ৯৫ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের মাঝে কোরবানীর মাংস বিতরণ করা হচ্ছে। ক্যাম্পগুলোতে প্রথম দিন ২ হাজার গরু কোরবানী দিয়ে মাংস বিতরণ করা হয়েছে। তিনদিন চলবে পশু কোরবানী ও মাংস বিতরণ।
শুধু রোহিঙ্গা নয়, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় স্থানীয় দরিদ্র পরিবারগুলোতেও কোরবানীর পশুর মাংস বিতরণ করা হচ্ছে- জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী।
ভিনদেশে আশ্রিত জীবনে প্রথম ঈদুল আযহা পালন করতে পেরে খুশি রোহিঙ্গারা। তবে নিজের দেশ, নিজের বাড়িতে ঈদ পালন করতে পারলে প্রকৃতপক্ষে খুশি হতো বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।