মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রাজনৈতিক পদক্ষেপও জরুরি। তা না হলে রোহিঙ্গা সংকটের কোন সমাধান হবে না। বাস্তুচ্যুতদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দু’দিন কাটিয়ে ঢাকায় ফিরে জাতিসংঘ মহাসচিবের মানবিক দূত ড. আহমেদ আল মেরাইক ও ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
ইউনিসেফের প্রধান নির্বাহী বলেন, বাস্তুচ্যুতদের রাখাইনে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের অধীনে সব সংস্থা কাজ করছে। এখনও রাখাইনে কাক্সিক্ষত পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় খানিক হতাশা প্রকাশ করেন গত জানুয়ারিতে মিয়ানমার সফরকারী জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শিশুদের কোন আইনি পরিচয় বা নাগরিকত্ব নেই। বাংলাদেশেও শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করা হচ্ছে না। তাদের বৈধ পরিচয় নেই। শরণার্থী মর্যাদাও নেই। প্রায় ৫ লাখ শিশু রাষ্ট্রহীন অবস্থায় রয়েছে। তারা তাদের ভবিষ্যত নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এবং হতাশা ও নৈরাশ্যের ঝুঁকিতে রয়েছে। এই শিশুদের জন্য টেকসই কোন সমাধান পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতিবেদন।