বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের পর্যাপ্ত টিকার মজুত না থাকায় প্রায় ৮ সপ্তাহ টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ থাকার পর শনিবার থেকে তা পুনরায় শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন চীন থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে ঢাকায় ৪টি এবং বাকি ৬৩টি জেলায় একটি করে মোট ৬৭টি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হচ্ছে। ঢাকার ৪টি কেন্দ্রে আজ শুধু সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হয় যাতে তারা সশরীরে ক্লাসে যোগদান করতে পারেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন টিকার বড় চালান আমদানি না হওয়া পর্যন্ত সর্বসাধারণকে টিকার প্রথম ডোজের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সরকারের তরফে অবশ্য আশা প্রকাশ করা হয়েছে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে গন টিকাদান কর্মসূচি পুনরায় শুরুর করা সম্ভব হবে।
এদিকে, দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত সংলগ্ন এবং এর আশপাশের জেলাগুলোতে কঠোর লকডাউন এবং অন্যান্য বিধি নিষেধ আরোপ করা সত্ত্বেও সেখানে করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়েই চলেছে। ওই এলাকার খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২২ জন এবং রাজশাহীতে একই সময়ে মারা গেছেন ১০ জন। পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও কমার এখন পর্যন্ত কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এ কারনে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দেশের পশ্চিমাঞ্চলকে সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়ার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন যাতে ভারত থেকে আসা উচ্চ সংক্রমনশীল করোনা ভাইরাস সমগ্র দেশে ছড়িয়ে না পড়ে।
অপরদিকে, আজ সরকারের দেয়া তথ্য মোতাবেক দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩০৫৭ জন।