সৌদি আরবের অভ্যন্তরে যেমন তেমনি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্কের ক্ষেত্রে বলা যায় বেশ কিছু নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। প্রথম ঘটনাটি হচ্ছে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সা’আদ হারিরির সৌদি সফরে এসে পদত্যাগ এবং দেশে ফিরে না যাওয়া। বিদেশের মাটিতে হারিরির অকষ্মাৎ পদত্যাগের পেছনের কারণ অনুসন্ধানের জন্য লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আওন, আরব লীগসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য চেয়েছেন এবং সেখান থেকে বলা হচ্ছে যে তার কোন পদত্যাগপত্রও পাননি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আজই বলেছেন যে, হারিরি গৃহবন্দী রয়েছেন এমন কোন আভাষ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তিনি এ কথাও বলেছেন যে তাঁর পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হলে, তাঁকে দেশে ফিরে যেতে হবে। লেবাননে হেজবুল্লাহর আধিপত্য, সুন্নি প্রধানমন্ত্রীর জীবনের প্রতি হুমকি বলেই কি তিনি পালিয়ে এসছেন, নাকি সৌদি চাপে পড়ে তিনি এই কাজটি করলেন?
তা ছাড়া সৌদি আরবে বলা যায় একরকম শুদ্ধিকরণ অভিযান চলছে । যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নের্তৃত্বে দূর্নীতি দমন অভিযানে অনেক রাঘব বোয়ালই এখন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আবার অন্যদিকে সৌদি প্রশাসন ও রাজপরিবারের ভেতরেও বড় রকমের পরিবর্তন ঘটেছে। এ কি কেবলই দূর্নীতি দমন অভিযান, নাকি যেমনটি অনেক বিশ্লেষক মনে করেন যে এটি হচ্ছে বর্তমান রাজ পরিবারের ক্ষমতা নিষ্কন্টক করার প্রয়াস?
এসব বিষয় নিয়ে ভয়েস অফ আমেরিকার আনিস আহমদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির পলিটিক্স এন্ড গভর্ণমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।