টঙ্গীর বিধ্বস্ত কারখানাটিতে ৫ দিন ধরে উদ্ধার অভিযান চলছে। এখনো পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পেশকৃত তালিকার নিখোঁজ ১০ জন শ্রমিকের কোনো সন্ধান মেলেনি। তাদের স্বজনেরা দৌড়ঝাপ লাগাতার অব্যাহত রেখেছেন। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সহায়তার অর্থ এখনো পর্যন্ত হতাহতের অনেক পরিবারের কাছে পৌছানো হয়নি।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন Human Rights Watch (HRW) বলেছে, টঙ্গীর এই দুর্ঘটনা নিম্নমানের তদারকি ও পরিদর্শন ব্যবস্থারই দৃষ্টান্ত এবং এ সম্পর্কিত উদ্বেগকেই আরও বাড়িয়ে তুলবে। সংস্থাটি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, শিল্প কলকারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করায় ব্যর্থতার দায় শুধু সরকারেরই নয়, বহুজাতিক কোম্পানীগুলোকেও নিতে হবে।
Human Rights Watch নিরাপদ ও নিরাপত্তাপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে ব্যর্থতার জন্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে এই মর্মে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে যে, রানা প্লাজা ধসে ১১ শতাধিক শ্রমিকের জীবননাশ এবং এরপরের ঘটনাবলীসহ কতো ঘটনা ঘটলে নিরাপত্তাহীন কর্মপরিবেশ বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হবে। সংস্থাটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।...ঢাকা থেকে আমীর খসরু