অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সৌদি যুবরাজ সালমানের প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প


G20
G20

জাপানের ওসাকায় অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং বলেন, তিনি আমার খুব ভালো বন্ধু যিনি অসাধারণ কাজ করেছেন।

Trump-Salman
Trump-Salman

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনালড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জয়াম কেনার জন্য সৌদি আরবের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, যুবরাজ সালমান, দেশটির অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংস্কারের যে কাজ করেছেন তা প্রশংসনীয়।তবে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসগজির মৃত্যু সম্পর্কে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই মৃত্যুর কারণে যুবরাজ সালমান আন্তর্জাতিক তদন্তের সম্মুখীন হন।

শনিবার সকালে নাস্তার বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে অনেক বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয় যা কিনা ওয়াইট হাউসের ভাষ্যমতে ছিল ফলপ্রসূ। আলোচনার মধ্যে, ইরান প্রসঙ্গ, বিশ্ব তেলের বাজারের স্থিতিশীলতা এবং মানবাধিকার প্রসঙ্গ উঠে আসে।

Trump-Xi
Trump-Xi

​শনিবার চীনের প্রেসিডেন্ট শী জিনপিঙ্গের সঙ্গেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠক হয়েছে।দুই দেশের চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য দুই নেতা মিলিত হন। ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদদাতা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, তিনি মনে করেন কিনা প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং কোনও বাণিজ্য চুক্তি প্রস্তাব করতে পারেন, তিনি বলেন, ‘দিনটি পুরো বিশ্ববাসীর জন্য খুব উত্তেজনাপূর্ণ হবে।দেখা যাক কি হয়। আশা করছি দুই দেশের জন্যই এই বৈঠক ভালো হবে। একটি সমাধান বেরিয়ে আসবে।

তবে ওয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা, ল্যারি কুডলো জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই বৈঠকের বিষয়ে কোনও পূর্বশর্ততে রাজি হননি।এবং চীনের ওপর নতুন করে আরও শুল্ক বসানোর যে হুমকি তিনি দিয়েছেন, তাতে তিনি অনড় রয়েছেন।

ট্রাম্প আরও ৩২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে যা যুক্তরাষ্ট্রের চাষিদের ওপর আর্থিক প্রভাব ফেলেছে।এই পর্যন্ত ১১ টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এই বাণিজ্য বিষয়ে। চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি বাজার অধিগ্রহণ, এই দুটি বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বিগ্নের কারণ।

Trump-Erdogan
Trump-Erdogan

তুর্কী প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তুর্কী রাশিয়ার এস ক্ষেপণাস্ত্র পদ্ধতি সংগ্রহ করার কারণে, ন্যাটো মিত্রদের মধ্যে ভাঙ্গন ঠেকাতে, এই বৈঠককে শেষ একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

জাপান ত্যাগ করার আগে, এরদোয়ান সংবাদ্দাতাদের জানান, ‘আমি জানিনা ন্যাটোর দেশগুলো একজন আরেকজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা শুরু করেছে কিনা, তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন কোন ইঙ্গিত আমাকে দেননি। তিনি আরও বলেন, তিনি আশা করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে এবং সহযোগিতা জোরদার করার জন্য এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:27 0:00

XS
SM
MD
LG