অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্র বৃটেনের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করলেন ট্রাম্প ও মে


যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহনের পর বিদেশি কোনো নেতার সঙ্গে এই প্রথম বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন বৃটেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সম্পর্কের কথা। পাশাপাশি তিনি নেটোর প্রতি একশতভাগ সমর্থন ব্যাক্ত করেন।

দুই নেতার বৈঠকের পর অনুষ্ঠিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বিশ্বের কাছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও আইনের শাষনের প্রতি সম্মানের ক্ষেত্রে প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

হোয়াইট হাউজের ইস্ট রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা রাশিয়া ও মেক্সিকো বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করেন।

শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার পর রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রাখা না খারার প্রশ্নে মিষ্টার ট্রাম্প বলেন রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা বলার সময় আসেনি এখনো। তিনি বলেন তিনি সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার পক্ষপাতি। তিনি চীনের নামও উল্লেখ করেন।

একই প্রশ্নে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে বলেন বৃটেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকার পক্ষে; অন্তত যতোদিন না মিনস্ক চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয় এবং রাশিয়া সমর্থীত বিদ্রোহী ও ইউক্রেন বাহিনির মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ না হয়।

সন্ত্রাস দমন বিষয়ে বন্দী নির্যাতন নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন তিনি তাতে বিশ্বাস করেন তবে তিনি তাঁর মনোনীত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জেমস ম্যাটিসের সঙ্গে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। ম্যাটিস বলেছেন তিনি বর্তমানে চলমান সেনা জিজ্ঞাসাবাদ কৌশল দ্বারা বিভ্রান্ত হবেন না।

দুই নেতা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে; বিশেষ করে বানিজ্য নীতিমালা সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন। ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বের হওয়া এবং ট্রাম্পের ১২ জাতীর টিপিপি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা’র ফলে এই দুই দেশের বানিজ্য সম্পর্ককে আরো ত্বরান্বিত করবে বলে ধারনা করা হয়।

আইসিস সহ জঙ্গীবাদ দমনে দুই দেশ একত্রিত হয়ে কাজ করবে বলে আশাবাদ্য ব্যাক্ত করা হয়।

XS
SM
MD
LG