ইউক্রেইনিয় বাহিনী এবং রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে শনিবারের অস্ত্রবিরতি বড়দাগে দুই বিবদমান পক্ষই পালন করেছে। এর ফলে, ইউক্রেইনের রুশ ভাষাভাষি পূর্বাঞ্চলে, গত ৫ মাস ধরে যে যুদ্ধ চলছে, তার সাময়িক বিরতির সম্ভাবনা তৈরি হলো।
অবশ্য, দুপক্ষই কিছু কিছু স্থানে এক অপরকে অস্ত্র বিরতি লংঘনের জন্যে দোষারোপ করেছে।
ওদিকে শনিবার, রাশিয়া অঙ্গীকার করেছে, যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন মস্কোর ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করে তাহলে, তারাও তারা পালটা জবাব দেবে।
আগামি সোমবার থেকে এই নতুন নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত হবার কথা।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, যদি আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে, অবশ্যই আমাদের দিক থেকে প্রতিক্রিয়া হবে। অবশ্য এই প্রতিক্রিয়ার ধরণ কি হবে, তা বিবৃতিতে বলা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেণ্ট বারাক ওবামা শুক্রবার বলেছেন, তিনি একই সঙ্গে এই অস্ত্রবিরতি নিয়ে যেমন আশাবাদী তেমন সংশয়ের মধ্যেও আছেন। তিনি জোড় দিয়ে বলেছেন, যদি এই সংকট আরো ঘনীভূত হয়, তাহলে পশ্চিম, মস্কোর ওপর আরো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।
কিয়েভ সরকার, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, মস্কো এবং ইউরোপের Organization of Security and Cooperation শুক্রবারের এই নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করে। এই অস্ত্রবিরতি একটি রুশ শান্তি প্রস্তাবের অংশ। যার মধ্যে আরো রয়েছে, বন্দী বিনিময় এবং শরণার্থী ও সাহায্য সংস্থা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।