বেজিং বলেছে, আজ যুক্তরাষ্ট্রের একটি রণতরী বিতর্কিত স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের ২২ কিলোমিটার কাছ থেকে গেছে।
এ সম্পর্কে VOA সংবাদদাতা স্টিভ হারমেনের ব্যাংকক থেকে পাঠানো রিপোর্ট, পড়ে শোনাচ্ছেন শাগুফতা নাসরিন কুইন।
চীন দখলিত সুবি শৈলশ্রনীর দিকে অগ্রসর হয় যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী USS Lassen। তাইওয়ান, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপিন্সও ওই দ্বীপের মালিকানা দাবী করে।
বেজিংএ পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় অভিযোগ করে যে রণতরীটি অবৈধ ভাবে তাদের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে। তারা বলেছে চীনে সার্বভৌমত্বের প্রতি এটি একটি হুমকী। তারা আরও বলেছে ওই নৌযানের উপর নজর রাখা হয়, তা অনুসরন করা হয় এবং সতর্ক করে দেওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সূত্রে বলা হয় যে কোন অনভিপ্রেত ঘটনা ছাড়াই মিশন সম্পন্ন হয়েছে।
Council on Foreign Relations এর জাপান বিষয়ক সিনিয়র ফেলো হচ্ছেন শিলা স্মিথ।
তিনি বলেন চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর চ্যালেঞ্জ এমন সময় এলো যখন বেজিং ক্রমান্বয়ে বাগাড়ম্বরপূর্ণ মন্তব্য করছে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার বিষয়ে।
তিনি বলেন “এতে এই ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে শান্তিপূর্ণ ভাবে বিরোধ নিস্পত্তি করতে তারা প্রস্তুত নয়। বরং ওই দ্বীপপুঞ্জে চীনের সামরিক উপস্থিতি ও তা বৃদ্ধি এটাই ইঙ্গিত করে যে তারা চায় সেটা যেন স্থির হয়ে গেছে। তারা শুধু তা অধিকার করে থাকবে।”
প্রায় ২০০ চীনা সেনা দক্ষিণ চীন সাগরে সুবি শৈলশ্রেনীতে মোতায়েন আছে বলে মনে করা হয়।। ভাটার সময় ওই এলাকা স্বভাবতই পানির ওপরে থাকে।
স্মিথ বলেন শৈলশ্রনীর নিম্ন এলাকাগুলোতে চীনা নির্মান প্রকল্পগুলোকে মনে করা হয় যে তাদের প্রাধান্য দেখানোর প্রচেষ্টা সেটা।
তিনি বলেন “আপনারা জানেনইতো দক্ষিণ চীন সাগরের প্রান্তে দেশগুলোর চীনের ক্রমবর্ধিত নৌ ও বিমান বাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা নেই।”
বিশ্লেষকরা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী এ ধরনের টহলদারী অব্যাহত রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে আন্তর্জাতিক দরিয়ায় নৌ চলাচলের অধিকার তাদের আছে।