অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কিউবায় স্বাধীনতাকামী বিক্ষোভ দমনের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০টি দেশ


কিউবার হাজার হাজার স্বাধীনতাকামী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কিউবান সরকারের দমন অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং আরো ২০টি দেশ। সেই সাথে বিক্ষোভকারীদের মুক্তি এবং দ্বীপদেশটিতে ইন্টারনেট ফিরিয়ে দিতে হাভানার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেছেন: “আজ বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রপন্থীরা কিউবার জনগণের প্রতি সমর্থন জানাতে একত্রিত হচ্ছে। সেই সাথে সবার জন্য মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কিউবানদের দাবির প্রতি সম্মান জানাতে সে দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে”।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন

তিনি বলেন: “কিউবার সরকার, শত শত বিক্ষোভকারীকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছে যে, তারা নিজ দেশের জনগণের কণ্ঠকে স্বীকৃতি না দিয়ে বরং গোপন দ্রুত বিচারের নাম ঐ কণ্ঠস্বরগুলিকে রোধ করাই তাদের উদ্দেশ্য”।

এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১১ই জুলাই যে হাজার হাজার কিউবান রাস্তায় রাস্তায় নেমেছিল, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ অনুযায়ী তাদের "মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ” করার অধিকার আছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, "আমরা কিউবার সরকারকে অনুরোধ করছি, তারা যেন কিউবার জনগণের কণ্ঠস্বরকে সমর্থন দিয়ে তাদের দাবি মেনে নেয়। কিউবার মানুষ এবং যারাই জনগণের মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ায়, তাদের সমর্থন দেয়া থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পিছপা হবে না।

বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যৌথভাবে অস্ট্রিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েডর, এস্তোনিয়া, গুয়াতেমালা, গ্রীস, হন্ডুরাস, ইজরায়েল, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, কসোভো, মন্টিনিগ্রো, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া, পোল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউক্রেন সমর্থন দিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে কিউবার শত শত বিক্ষোভকারীদের আটকের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন এবং সে কারণে সে দেশের সেনাপ্রধান এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। কিউবা সরকার ঐসব বিক্ষোভ দমন করেছে।

XS
SM
MD
LG