যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা রকম নির্বাচনী জরিপ চলছে। দেশের সাম্প্রতিক অর্থনীতি নিয়ে এ্যাসোসিয়েটেড পেস ও NORC Center for Public Affairs Research এর এক জরিপে বলা হচ্ছে ৮৫ শতাংশ ডেমোক্রেট সমর্থক মনে করেন দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। ৬৫ শতাংশ রিপাব্লিকান সমর্থক মনে করেন অর্থনীতির অবস্থা ভালো
সহকর্মী মসা্রিয়ামা দিয়ালো তার এক প্রতিবেদনে বলেন কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে তিন মাসেরও বেশী সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে নানা ধরনের কড়াকড়ি চলছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে। কিন্তু ভয় আশংকা রয়েই গেছে। কারন নতুন নতুন রাজ্যে করোনার বিস্তার ঘটছে।
ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক পিটার মরিসি এমেরিটাস মনে করেন অর্থনীতির গতি ঠিক আছে। সঠিক দিকেই চলছে যুক্তরাস্ট্রের অর্থনীতি, “তিন মাসের সংকটের কারনে বেকারত্বের হার বেড়েছে। এটি ইতিমধ্যেই নিম্নগামী হতে শুরু করেছে। এতেই বোঝা যায় দেশের অর্থনীতির উ্ন্নতি হচ্ছে”।
তবে জরিপের ফলাফল বলছে আমেরিকানদের প্রতি ৩ জনের একজন বলছে অর্থনিতি ভালো। মে মাসের চেয়ে এই মন্তব্যের পক্ষে সমর্থন বেড়েছে ৭ পেয়েন্ট। জানুয়ারীতে ৬৭ শতাংশ মানুষ বলেছেন অর্থনীতি ভালো।
হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক ড. উইলিয়াম স্প্রিগস মনে করেন অর্থনীতিত ভালো না মন্দ তা এখন যাচাই বাছাই করার সময় আসেনি। মহামারী কাটেনি এখনো। এই খাতে আরো অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন।
“সেই কারনেই কংগ্রেসের উচিৎ মানুষের, বিশেষ করে বেকার ভাতাপ্রাপ্তদের বাড়তি ৬০০ ডলার আরো কিছুদিন দিয়ে যাওয়া। আমি মনে করি অর্থনীতি এখনো নিম্নগতির দিকে। কারনে জুন শেষ হতে চলেছে, জুলাইতে আরো সমস্যা বাড়ার সম্ভাবনা আছে”।
অনেক আমেরিকান মনে করেন কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান খোলার পর অনেকেই চাকরী শুরু করেছেন, তবে বহু মানুষ লে অফ হয়েছেন।ণন।
অধ্যাপক পিটার মরিসি মনে করেন, “মে মাসের চাকরীর প্রতিবেদনে দেখা যায় ২.৫ মিলিয়ন চাকরীর সৃষ্টির পরও ৩ লাখ বাড়তি মানুষ স্থায়ীভাবে চাকরী হারিয়েছেন। তবে সাসময়িকভাবে চাকরী হারানোর সংখ্যাও বিপুল”।
অর্থ ও বানিজ্য বিভাগের মতে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতি ৫.০ শতাংশ পড়ে গেছে।
হোয়াইট হাউজ উপদেষ্টা ল্যারী কুডলোর মতে কোভিড-১৯ আবারো বেড়ে যাওয়ার পরও অর্থনীতি শাটডাউন করার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই, “আমরা হট স্পটগুলো চিহ্নিত করছি”।
কুডলোর মতো অনেকেই মনে করেন কোভিড এর ব্যবস্থাপনা শিখতে হবে আমাদের।
এই অবস্থায় নভেম্বরের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও আন্যান্য বিষয়ের প্রভাব নিয়ে ভার্জিনিয়ায় বসবাসরত মূল ধারার তরুন রাজনীতিক রেদোয়ান চৌধুরী বলেন সবগুলো বিষযই নভেম্বরের নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।