অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

টিলারসনের বহিষ্কারে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে অনেকেই হতাশ


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন প্রায় এক বছর কর্মরত থাকার পর তাকে যে বহিষ্কার করা হ’ল তা পুরোপুরি আশ্চর্যজনক না হলেও যে ভাবে এবং যে সময়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেটা অবাক করার মত। ভয়েস অব আমেরিকার সংবাদদাতা মাইকেল বোম্যান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের বহিষ্কার এবং সিআইএর পরিচালক মাইক পম্পেও তার পদে স্থলাভিষিক্ত করার সংবাদ যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে অনেকটা দাবাগ্নির মত ছড়িয়ে পড়েছে। ডেমক্রেট সেনেটার ক্লেয়ার মেকেসকল বললেন, “আমি মনে করি, পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে এই যে বিশৃঙ্খল অবস্থা চলছে তা খুবই দুঃখজনক। পররাষ্ট্র নীতিতে সংগতির অভাব রয়েছে এবং সবার মধ্যে ঐক্যের অভাব রয়েছে”।

রিপাবলিকান সেনেটার মাইক রাউন্ডস বলেন, “আমি খুব হতাশ হয়েছি। আমি মনে করি টিলারসন অত্যন্ত ভাল কাজ করেছেন। এখন আমরা কোন দিকে যাব তা কিন্তু দেখার বিষয়।”

ওদিকে ডেমোক্রেট সেনেটার রবার্ট মেনেনডেজ বললেন,

“আমেরিকান কূটনীতির জন্য এএক অসম্ভব চ্যাঞ্জিং সময় কারণ এর কমান্ডার স্বয়ং বিভ্রান্ত।”

ডেমোক্রেটিক সেনেটার টিম কেইন ভয়েস অব আমেরিকাকে জানিয়েছেন, আমেরিকার শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে মাইক পম্পেকে বেছে নেওয়া এক অস্বাভাবিক ঘটনা যিনি সম্ভবত কূটনৈতিক সমাধানের পরিবর্তে সামরিক সমাধানকেই উৎসাহিত করবেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টিলারসনের পদে সিআইএ প্রধান মাইক পোম্পেওকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিয়োগ করেছেন। টিলারসন যে শীর্ষস্থানীয় সাবেক কূটনীতিক টম কান্ট্রিম্যানকে বহিষ্কার করেছিলেন তিনি ভিওএকে জানান, “পম্পেও সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে অনেক কিছু জানেন। তিনি বলেন “আমি আশা করি তিনি প্রেসিডেন্টকে বোঝাতে পারবেন যে কেবল মাত্র এ বিষয়টি মেনে নেওয়া নয়, যে, এটা একটি সমস্যা। প্রথম বারের মত প্রেসিডেন্টকে আমেরিকার গণতন্ত্র রক্ষায় ঐ গোপন তৎপরতা বিরুদ্ধে কিছু করতে হবে।”

ওদিকে ঊর্ধ্বতন রিপাবলিকান আইন প্রণেতা জন করনিন অবশ্য একমত নন।

তিনি বললেন, “আমি দুঃখিত যে রেক্স টিলারসনকে চলে যেতে হল কিন্তু তার উত্তর সুরী হিসেবে মাইক পম্পেও অসাধারণ।”

বিশ্লেষকেরা উল্লেখ করেন, মনে করা হচ্ছে, পম্পেও যে সামরিক শিক্ষায় শিক্ষিত সেটা ভাল কারণ ট্রাম্প সামরিক কর্মকর্তাদের সংগে ভাল কাজ করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই রদবদল করা হল মে মাসে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু মুক্ত করার উদ্দেশ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উত্তর কোরিয়ার নেতা কিন জং উনের সংগে সম্ভাব্য শীর্ষ বৈঠকের আগে। ট্রাম্প বলেছেন, ঐ একই সময় তিনি ইরানের সংগে আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তিটি পরিত্যাগ করতে চান।

XS
SM
MD
LG