অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গাদের প্রতি সদ্ব্যবহারের জন্যে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করবে


যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কুটনৈতিক কর্মকর্তা মিয়ানমারে রওয়ানা হয়েছেন । তিনি সেখানে সে দেশের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের প্রতি আরও ভাল আচরণ করার আহ্বান জানাবেন। এর একদিন আগে ওয়াশিংটন এ রকম আভাস দিয়েছিল যে তারা সমুদ্রে আটকা পড়া হাজার হাজার রোহিঙ্গার আশ্রয়ের ব্যাপারে সহায়তা প্রদানে ইচ্ছুক ।

যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলছেন যে তিনি রাখাইন রাজ্যের অবস্থা উন্নয়নে মিয়ানমারের নেতাদের নিজস্ব দায়িত্ব সম্পর্কে তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন যাতে করে জনগণ এটা মনে না করে যে তাদের কাছে একমাত্র বিকল্প হচ্ছে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে সমুদ্রপথে পাড়ি দেওয়া।

গত দশ দিনে তিন শ জন শরনার্থী এবং দেশান্তরিত মানুষ যারা প্রধানত বাংলাদেশী এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা , তাদের সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কিংবা তারা সাঁতার কেটে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর উপকুলে গিয়ে উঠেছে। তাদেরকে মানব পাচারকারীরা মাঝ সমুদ্রে পরিত্যাগ করে। মনে করা হচ্ছে আরও হাজার হাজার লোক ভাসমান রয়েছে।

তথাকথিত ভাসমান লোকদের প্রথমে সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর , গতকাল এক বৈঠকে ইন্দোনেশিয়া ও মালায়েশিয়া , প্রায় সাত হাজার আটকে পড়া দেশান্তরি লোককে মানবিক সাহায্য প্রদান এবং অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থ করে দিতে রাজি হয়েছে। তবে তারা শর্ত দিয়েছে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতার মাধ্যমে এক বছরের মধ্যে তাদের পুনর্বাসিত করতে হবে।

যুক্তরাষেট্রর পররাষ্ট্র বিভাগ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যার ফলে তারা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করছে। মুখপাত্রী ম্যাডির হার্ফ বলেন যে জাতিসংঘ স্থাপিত সুরক্ষা কেন্দ্রগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করবে এবং শরনার্থীদের পুনর্নবাসন বিষয়ক অনুরোধ বিবেচনা করে দেখবে।

এ দিকে আন্তর্জাতিক সংস্থার একজন মুখপাত্রের মন্তব্যসহ বিস্তারিত রিপোর্ট শুনবেন আজই বিশ্ব সংবাদের পর

XS
SM
MD
LG