প্রাথমিকভাবে দিনে দুই লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, ঢাকা থেকেই প্রথম ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে। এরপর ইউনিয়ন পর্যায়ে। মন্ত্রী জানান, ভারত থেকে ২০ লাখ ডোজ টিকা কাল অথবা পরশু আসবে। এটা ভারত সরকার উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে দিচ্ছে। সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ি এ মাসের শেষের দিকে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার সাংবাদিকদের আরো জানান, শুরুতে সামনের সারির যোদ্ধাদের টিকা দেয়া হবে। ডাক্তার, নার্স, পুলিশ ও সাংবাদিকরা আগে পাবেন। আগামী মাসের শুরুতে দেশব্যাপী টিকাদান শুরু হবে। শুুরুতে ভিআইপিদের টিকা দেয়ার বিষয়ে কোন পরিকল্পনা নেই বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভারত থেকে উপহার হিসেবে আসা টিকা প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের দেয়া হবে। এই টিকা প্রয়োগ করে সাত দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বরাবরই দাবি করে আসছেন, বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে। এক পক্ষকাল ধরে প্রতিদিনের স্বাস্থ্য বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ি আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের নীচে। কিন্তু হঠাৎ করেই দেখা যাচ্ছে দেশের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে আইসিইউতে রোগী প্রায় তিনগুন বেড়েছে। এই দুই মহানগরীতে আইসিইউ রয়েছে ২৩৪টি। এর মধ্যে গতকাল রোগী ভর্তি ছিলেন ১৫৮ জন। অথচ অনেক দিন ধরে এসব হাসপাতালের আইসিইউতে ৫০ জনের বেশি রোগী ছিল না। গত এক দিনে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৭০২ জন।
ওদিকে দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী স্কুলে ফিরে যাবার পক্ষে মত দিয়েছেন। মঙ্গলবার প্রকাশিত এডুকেশন ওয়াচের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তারাও এর সঙ্গে একমত। গবেষণায় বলা হয়, ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত স্কুলে ফিরে যেতে চান। দেশের ৮টি বিভাগের ৮টি জেলা ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ২ হাজার ৯৫২ জন শিক্ষার্থীর ওপর এই জরিপে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে মত এসেছে।
গত মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হলেও ফলাফল তেমন আশাব্যঞ্জক নয়।