প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে ১০৩ জন বাংলাদেশী আটকা পড়েছেন। একটি সংঘবদ্ধ পাচারচক্রের কবলে পড়ে তারা দেশ ছেড়েছিলেন নতুন এক স্বপ্ন নিয়ে। দালালরা বলেছিল ভানুয়াতু পৌঁছাতে পারলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। নিকটেই অস্ট্রেলিয়া। যে করেই হোক অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেয়া সম্ভব। শুধু কি তাই? দালালরা বলেছিল ভানুয়াতু পৌঁছা মাত্রই তাদেরকে বিজনেস কার্ড দেয়া হবে। যে কার্ড পেলে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়ে যাবে। ভানুয়াতু পৌঁছার পর এই বাংলাদেশীরা বুঝতে পারেন এসব ভুয়া। এখন তাদেরকে আদালতে দৌড়াতে হচ্ছে। টাকা নেই, পয়সা নেই। নেই কোন কাজ। আদালতে যাবার পয়সাও নেই। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যমে এই বাংলাদেশীদের করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে।
২ লাখ ৬৬ হাজার মানুষের দেশ ভানুয়াতু। ১৯৮০ সনের ৩০শে জুলাই দেশটি স্বাধীন হয়। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, মি. প্রিন্স নামে একটি কোম্পানির মালিক এসব মানুষদের প্রলুব্ধ করে ভানুয়াতু নিয়ে গেছেন। পাচার হওয়া যুবকদের একজন শাহিন খান। তিনি বলেন, মি. প্রিন্স হলো ভানুয়াতুর রাজধানী পোর্ট ভিলার একটি আসবাবপত্রের স্টোর। পাচারের আগে তাদেরকে বলা হয়েছিল ভানুয়াতু পৌঁছার পরপরই তারা ব্যবসা করতে পারবে। চারজন বাংলাদেশী তাদেরকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল। গত নভেম্বরে তাদেরকে ভানুয়াতু পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বলা হচ্ছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এটাই সবচেয়ে বড় মানব পাচারের ঘটনা।
ওদিকে ভানুয়াতুর আদালতে দ্বিতীয় দফায় তিন সপ্তাহের জন্য মামলাটি মুলতবি করা হয়েছে। বাংলাদেশ তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহায়তা চেয়েছে।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতিবেদন।