অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পশ্চিমবঙ্গে ২২টি করোনা হাসপাতাল তৈরি হবে


পশ্চিমবঙ্গের ২২ টি জেলায় ২২টি "ডেডিকেটেড" নভেল করোনা হাসপাতাল তৈরি হবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য ভবন। প্রতিটি জেলায় একটি করে নভেল করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল তৈরি করা হবে। সব জেলার প্রশাসন এবং সিএমওএইচ অর্থাৎ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে এই মর্মে নির্দেশও পাঠানো হয়ে গিয়েছে। সেখানকার কোন হাসপাতালকে 'করোনা হাসপাতালে' রূপান্তরিত করা প্রয়োজন, সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে বলে খবর।
জেলা প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল নির্বাচিত করার। বেডের সংখ্যা, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি এবং কত চিকিৎসক-নার্স কর্মী দরকার, এ সবই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রিপোর্ট পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনকে। একাধিক স্বাস্থ্য কর্তার দাবি, সরকার আগাম সর্তকতা হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "সব জেলা থেকে তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কোন হাসপাতালে তাঁরা করতে চান তাও জানাতে বলা হয়েছে।"
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হল দ্বিতীয় করোনা-আক্রান্তের। গতকাল রবিবার গভীর রাতে উত্তরবঙ্গের কালিম্পঙের বাসিন্দা ৪৪ বছরের ঐ মহিলার মৃত্যু হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ১৬ মার্চ ঐ মহিলা চেন্নাই থেকে ফিরেছিলেন। তিনি চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন মেয়ের চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে ফেরার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে স্থানীয় ভাবেই তিনি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিন্তু অসুস্থতা দিন দিন বাড়তে শুরু করে। জানা গেছে, এ পর তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গত ২৫ মার্চ তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
করোনাভাইরাসের সব রকম লক্ষণ থাকায় তাঁর নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয় সেখান থেকে। রিপোর্টও পজিটিভ আসে। কিন্তু কোন চিকিৎসাতেই সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। ক্রমে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হতে শুরু করে। প্রাথমিক ভাবে জানা যায় গতকাল রবিবার রাত ২টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
XS
SM
MD
LG