পশ্চিমবঙ্গে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের পর এবার হুগলি জেলার কামারকুণ্ডুতে একজনের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে। চোর সন্দেহে এক সহকর্মীকেই রেলের ঠিকা শ্রমিকরা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রেলের ঠিকাদারের অধীনে কাজ করত দীপক মাহাতো নামে এক কিশোর। তার বাড়ি বিহারে। বয়স মোটে ১৭ বছর। গত কয়েক দিন ধরে রেললাইন তৈরির কাজ চলছে হুগলির কামারকুণ্ডতে। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় ৫০ জন ঠিকা শ্রমিকের সঙ্গে কামারকুণ্ডুতে কাজ করছিল দীপকও। সহকর্মীদের সঙ্গে অস্থায়ী তাঁবুতেই থাকত সে। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে যখন তাঁর তাঁবুতে ঢোকে দীপক, তখন চিৎকার করতে শুরু করেন সুপারভাইজার। অন্য শ্রমিকদের তিনি বলেন, মোবাইল চুরি করতেই তাঁবুতে ঢুকেছে ঐ কিশোর।
অভিযোগ, মোবাইল চোর সন্দেহে রাতভর গাছে বেঁধে দীপককে বেধড়ক মারধর করেন অন্য ঠিকাদার শ্রমিক। আজ বুধবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় কামারকুণ্ডুতে। গুরুতর আহত অবস্থায় দীপক মাহাতোকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সিঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। খবর দেওয়া হয় সিঙ্গুর থানায়। ঘটনায় সাতজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে আবার ঐ নাবালক কিভাবে রেলের ঠিকা শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিল, সেই প্রশ্নও উঠেছে। কখনো ছেলেধরা, তো কখনো আবার চোর- স্রেফ সন্দেহের বশেই রাজ্যে গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে।