পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মতে একমত হয়েই এবার সওয়াল করলেন কেরলের সিপিএমের অর্থমন্ত্রী। তা সমর্থন করলেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হলেন বিরোধীরা।
কলকাতা থেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন পরমাশিষ ঘোষ রায়।
পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতির প্রসঙ্গেও সরব হলেন তাঁরা। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে রাজ্যগুলির পাওনার হিসেব কষতে আগের মতো ঊন্নিশো একাত্তরসালের জনসংখ্যাকে ভিত্তি করছে না কেন্দ্র। হিসেব হচ্ছে দুহাজার এগারোসালের জনসংখ্যাকে ধরে। তার ফলে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ওড়িশা, পাঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যগুলিকে ব্যাপক রাজস্ব ক্ষতি মুখে পড়তে হবে। সব মিলিয়ে বিরোধী রাজ্যগুলির রাজস্ব ক্ষতি হবে এক লক্ষ পঁচিশহাজারতিনশো বিরানব্বই কোটি টাকা। তাই বিষয়টির প্রতিবাদ করে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠিই বিরোধী রাজ্যগুলিকে একজোট করার ‘অনুঘটক’ হিসেবে কাজ করে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। রাজ্যের ক্ষতি স্বীকার করতে না চেয়ে কীভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে চেপে ধরা হবে তা নিয়েঅন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতীতে বৈঠকে বসেছিল বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ছিলেন কেরল, পুদুচেরি, পাঞ্জাব, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশের অর্থমন্ত্রীরা। টানা সাত ঘণ্টার বৈঠকে সেখানে ঠিক হয়েছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের হিসেবের শর্ত প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে।