পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আজ এক নজিরবিহীন রাজ্য বাজেট পেশ হল। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র অসুস্থ থাকায় তাঁর বদলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বাজেট পড়লেন। যদিও ভোট আসন্ন বলে এটি পূর্ণাঙ্গ বাজেট নয়, চার মাসের জন্য খরচের অনুমতি বা ভোট অন অ্যাকাউন্ট। এর জন্য স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারের অনুমতি নেওয়া ছিল, তবু বাজেট ঘোষণার আগে গোড়াতেই তুমুল অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অর্থমন্ত্রীর বদলে মুখ্যমন্ত্রী বাজেট পেশ করবেন কেন প্রশ্ন তুলে বাম দলগুলো ও কংগ্রেস ওয়াকআউট করে। তারপরে প্রতিবাদে বিজেপিও সভাকক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যায়। চরম বিশৃঙ্খলার পরে কার্যত বিরোধীশূন্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বাস্থ্য থেকে কৃষি, পরিবহন থেকে শিক্ষা এবং নানারকম পরিকাঠামোর সমস্ত ক্ষেত্রে একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন তিনি। যাকে ভোটের আগে ভোটমুখী বাজেট বলে বিরোধীরা বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, কলকাতা ও আশপাশে অনেকগুলো উড়ালপুল নির্মিত হবে। এ ছাড়া থাকবে পথচারীদের জন্য বেশ কয়েকটি স্কাইওয়াক। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আগামী দিনে আরও মসৃণ পথচলার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, গ্রামে গ্রামে ৪৬ হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তা তৈরি হবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে। রাজ্য সড়কের সঙ্গে এই গ্রামীণ রাস্তা যোগ করা হবে। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে পেনশন এবং পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্বাস্থ্যসুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় ১০ কোটি মানুষকে আনার কথা বলেছেন। বলেছেন, বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও স্বাস্থ্যসাথী চালু থাকবে। কলকাতা পুলিশের নতুন নেতাজি ব্যাটেলিয়ান গঠন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এই বাজেটে মাদ্রাসার জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। অলচিকি, নেপালি ও অন্যান্য ভাষার স্কুল খোলার কথা বলেছেন।