অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিভাগের মার্ক লোকক এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক সোমবার বাংলাদেশে আসছেন


মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে চলে আসা তিন লাখ শরণার্থীর হিসাব ধরে জরুরি সহায়তার জন্য প্রাথমিকভাবে যে অর্থ জাতিসংঘ দাতাদের কাছে চেয়েছিল তার অর্ধেকও জোগাড় হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিকভাবে যে ধারণার ভিত্তিতে তারা রোহিঙ্গাদের সহায়তার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন বর্তমানে পরিস্থিতি তার চেয়ে অনেক জটিল আকার ধারণ করেছে। এরিমধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হতে চলেছে। গত ৭ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গার জন্য সমন্বিত ত্রাণ তৎপরতায় প্রাথমিক হিসাবে অন্তত ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছিল। এর মধ্যে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৪ হাজার ডলার জোগাড় করা সম্ভব হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সেদেশের সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় উগ্রবাদীদের চালান হত্যা, ধর্ষণ এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ধ্রুত বাড়তে থাকায় জাতিসংঘ শরণার্থীদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য সম্প্রতি জন্য ২০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে দাতাদের কাছ থেকে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন গত পাঁচ সপ্তাহে আসা পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার প্রাথমিক চাহিদা মেটাতে এখন প্রতিদিন অন্তত ৫ কোটি ৯০ লাখ লিটার নিরাপদ সুপেয় পানি আর ১৮ হাজার ল্যাট্রিন প্রয়োজন। কিন্তু সাহায্য সংস্থাগুলো এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪১ হাজার শরণার্থীর জন্য সুপেয় পানি ও পয় নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পেরেছে। কর্মকর্তারা জানান জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিভাগের প্রধান ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়ক মার্ক লোকক এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক সোমবার বাংলাদেশে আসছেন। তারা আরও জানান দুই দিনের সফরে তারা টেকনাফে শরণার্থী শিবিরে গিয়ে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি ও সঙ্কটের মাত্রা নিজের চোখে দেখবেন।

এদিকে, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা বন্ধ না হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জঙ্গি সংগঠন আইএস মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছে অস্ট্রেলিয়া।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:10 0:00

XS
SM
MD
LG