ভারত সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের ১৫টি জেলায় উদ্বেগজনকভাবে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী

বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের ১৫টি জেলায় উদ্বেগজনকভাবে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত সীমান্তবর্তী এলাকার জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণের বিস্তার হচ্ছে খুব দ্রুতগতিতে। সংস্থাটির তথ্য মোতাবেক, ১০ থেকে ১৬ মে অর্থাৎ এই সপ্তাহের তুলনায় ১৭ থেকে ২৩ মে-এই সপ্তাহের ব্যবধানে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোসহ ২২টি জেলায় করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা কমপক্ষে ১শ’ ভাগ বেড়েছে। সরকারের সংস্থা আইইডিসিআর বলছে, এই সংখ্যা এখনও দ্রুতগতিতে বাড়ছে। সীমান্তবর্তী ৭টি জেলায় এক সপ্তাহে রোগী বেড়েছে ১শ’ থেকে ৫শ’ বা তারও বেশি। করোনার দ্রুতবিস্তার রোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশেষ লকডাউন ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মতো অন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রয়োজনে লকডাউন ঘোষণা করা হবে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা সংস্থা আইইডিসিআর’এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

Your browser doesn’t support HTML5

ভারত সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের ১৫টি জেলায় উদ্বেগজনকভাবে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী

বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, ঈদের সময় গ্রামমুখী মানুষের জনস্রোত এবং ভারতে করোনার চতুর্থ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কারণেই সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার দ্রুত বিস্তার ঘটছে। উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত শুধুমাত্র বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৫ হাজার বাংলাদেশী ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশের সাথে ভারতের অন্তত ২০টি স্থলবন্দর চালু রয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৩১ জনের মৃত্যু এবং ১ হাজার ৩৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।